আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের এবারের আয়োজক বাংলাদেশ

তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছরই বিশেষভাবে আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড। হংকং থেকে শুরু হওয়া এই অলিম্পিয়াড এবারই প্রথম হংকংয়ের বাইরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই আয়োজন নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) বুধবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর  আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুল মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১-এর চেয়ারম্যান ও টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হাবিবুল্লাহ এন করিম এবং অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন হংকং ব্লকচেইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. লরেন্স মা।

সাংবাদিকদের পলক জানান, প্রধানমন্ত্রী চান, একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে। এসব কিছুর জন্য আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা বেছে নিয়েছি ব্লকচেইন প্রযুক্তি।

তিনি বলেন, ‘ব্লকচেইনকে উৎসাহিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্লকচেইনকে তাদের কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’ জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আজকের যারা শিশু, তারাই হবে ২০৪১ সালের লিডার। প্রতিটি সেক্টরে তারাই নেতৃত্ব দেবে। আজকের শিশু প্রজন্মকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলবো, ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ সেভাবেই গড়ে উঠবে।’

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ জানান, ন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড থেকে বাংলাদেশের বিজয়ী ১২টি দল এই আয়োজনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিচ্ছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় এবং সফলতা।

জানা যায়, এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশ অংশগ্রহণ করছে। এতে যোগ দিতে https://ibcol2021.com/ এ ভিজিট করতে হবে। ৮ অক্টোবর একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড ২০২১ এর যাত্রা শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াড চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।