সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

বিশ্বজুড়ে নিরাপদ সড়কের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে (এআই) কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে নেতৃস্থানীয় দেশ ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সড়ক নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষ দূত ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন। তারা সম্প্রতি সড়ক নিরাপত্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হলো— ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং সবার জন্য নিরাপদ সড়ক এবং টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। নতুন প্রকল্পটির নীতিনির্ধারকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উন্নয়ন এসডিজির নিরাপদ সড়কের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য জরুরি, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয় সড়ক দুর্ঘটনায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যায় এবং প্রায় ২ থেকে ৫ কোটি মানুষ মারাত্মক আহত হয়, যাদের অনেককেই পঙ্গুত্ব বরণ করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরি সাহায্য করবে, যেমন- সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ডাটা ও সেগুলোর বিশ্লেষণ, সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্ঘটনা-পরবর্তী দ্রুত ব্যবস্থার জন্য কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন উদ্ভাবনী নীতিমালা প্রণয়নে। এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রকৃত ডাটার সহজলভ্যতা ও সেগুলোর ওপর নির্ভরযোগ্য অ্যালগরিদম ব্যবহার করা জরুরি। পৃথিবীর বহু দেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, ফলে তারা সড়ক নিরাপত্তায় সমাধান খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মহাসচিব হাওলিন ঝাও বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত সড়ক দুর্ঘটনা এই বার্তাই বহন করে— সব দেশের সব মানুষের জন্য নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও এর সুবিধাপ্রাপ্তি কতটা জরুরি। নতুন এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, পৃথিবীজুড়ে পাবলিক ও প্রাইভেট সড়ক ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা, যাতে সবার জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হয়।

সূত্র: গেজেটস নাউ