২০২৫ সালে আমাদের লক্ষ্য ৩০ লাখ কর্মসংস্থান: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা কাজে লাগাতে এবং প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা অনুযায়ী তরুণদের দক্ষ করে তোলার জন্য সরকার নানা উদ্যোগের বাস্তবায়ন করছে। তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনের খোঁজে তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সহায়তা ও উৎসাহিত করছে।’

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও হুয়াওয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন-২০২১-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালদুন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন, বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সোহান সালাউদ্দিন মুগ্ধ প্রমুখ।

বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রায় আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ধারার উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আইসিটি রফতানি এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালে তা ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ লাখ মানুষের। ২০২৫ সালে আমাদের লক্ষ্য ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান।’

বিয়েট্রিস কালদুন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এবং এই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান তরুণদের। তরুণদের মেধা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ১০ মাস ধরে চলা বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১-এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ  দলের নাম ঘোষণা করা হয়।

সোহান সালাউদ্দিন মুগ্ধ, রাবিব ইবরাত ও মো. তাহমিদুর রাফিদের সমন্বয়ে গঠিত বুয়েট দল চ্যাম্পিয়ন, মো. কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাহ আলী তাহের এবং সোহান রশীদের সমন্বয়ে গঠিত কুয়েট দল প্রথম রানার আপ এবং আরিফ আহমেদ নওফেল, মো. তাকিউল হাসান সাকিব এবং সেলিম রেজার সমন্বয়ে গঠিত এনএসইউ দল দ্বিতীয় রানার আপ হয়।

বিজয়ী তিন দলই ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ পাবে।