‘গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন নির্দেশনা বিটিআরসি দিতে পারে না’

গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন নির্দেশনা বিটিআরসি দিতে পারে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। ১৫ দিন একটানা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে গ্রাহক কোনও বিল দেবে না—বিটিআরসির এমন নির্দেশার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।

আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সংগঠন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, কমিশনের কাজ সবার আগে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু বিটিআরসি এ নির্দেশনার মাধ্যমে কেবল আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। এমনকি ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারাও অমান্য করেছে। এই আইনে বলা আছে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক দেশ এক রেট চালু হওয়ার পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকদের মানহীন সেবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি গত ৫ অক্টোবর একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনা মানতে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ইন্টারনেট সেবার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। সেই প্রস্তাবকে মাথায় রেখে বিটিআরসি নতুন নির্দেশনা দিয়ে বলে, ১৫ দিন একটানা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে গ্রাহক কোনও বিল দেবে না।

বিটিআরসির এই নির্দেশনায় দীর্ঘদিন ইন্টারনেট-সেবা না থাকলে গ্রাহক যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হলো তার বিপরীতে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ কিংবা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো বা জরিমানার কোনও নির্দেশনা নেই।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বা কল ড্রপ হলে সে ক্ষেত্রে আইটিইউ (ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন) ও বিটিআরসির গাইডলাইনে বলা আছে, দুই শতাংশের বেশি কল ড্রপ করা যাবে না। এর বেশি হলে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২০১৮ সালে আমাদের রিটের ভিত্তিতে হাইকোর্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন, কল ড্রপ বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসব আইন ও নির্দেশনা থাকার পরও কমিশনের নতুন এসব নির্দেশনা এ খাতে বিশৃঙ্খলা বাড়াবে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দাবি বিটিআরসি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার কোয়ালিটি অব সার্ভিস নির্ধারণ করে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করবে। যে নীতিমালায় গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি অপারেটররা জবাবদিহিমূলক সেবা প্রদানে বাধ্য থাকবে।’

 

আরও পড়ুন

তিন দিন নয়, টানা ১৫ দিন ইন্টারনেট না থাকলে বিল দিতে হবে না