ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকে উদ্ভাবনী চিন্তা আসে। একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের ওপর নির্ভর করছে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ। এ প্রসঙ্গে তিনি অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড, হার্ভার্ড ও এমআইটির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে দেশে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সপ্তম বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ইউনিবেটর (ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেটর)’ স্থাপনের জন্য দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কাছে আইসিটি বিভাগ জমি বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানায়। এ ব্যাপারে কুয়েট ও চুয়েট সাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এজন্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দিয়েছেন। আগামীকালই কুয়েটের ইউনিবেটর উদ্বোধন হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিলিয়ন ডলার কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবনী আইডিয়া এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আজ যেমন কুয়েট ও বাওয়েট থেকে আসছে নাসার বিশ্বজয়ী ধারণা। এই ধারাণাগুলোর বাণিজ্যিকীকরণের জন্য প্রয়োজন পৃষ্ঠোপোষকতা। এই গ্যাপ কমাতে আমরা ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ বিচারক প্যানেলের প্রধান রফিকুল ইসলাম রাউলি এবং বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২০টি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৯টি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৫টি, স্টার্টআপ বিভাগে ৫টি এবং এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে ১০টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে ৬৩ জেলায় ৬৩ জনকে, নারী বিভাগে ৫ জনকে, জাতীয় শীর্ষ ১০ ফ্রিল্যান্সার এবং বিশেষভাবে সক্ষম ১ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।