গ্রামীণফোনের উদ্যোগে ফাইভজি মিডিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালা

ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সহযোগিতায় ‘ফাইভজি: দ্য ফিউচার অব কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক একটি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সেশনের আয়োজন করে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। 

সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ আয়োজনে ফাইভজি প্রযুক্তি কী ও বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা কেমন– মূলত এ প্রসঙ্গেই সেশনে আলোকপাত করা হয়।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে মঈনুল মোমেন (ফাইভজি লিড অ্যান্ড হেড অব কোর নেটওয়ার্ক সার্ভিস) এবং এ.কে.এম আল আমিন (হেড অব নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস) আলোচনায় অংশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতামত, কারিগরি ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘দেশের টেক সার্ভিস লিডার হিসেবে এবং কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ১৬৭ বছরেরও বেশি ঐতিহ্য বহন করা টেলিনর গ্রুপের অংশ হিসেবে আমাদের ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে সক্ষমতা, দক্ষতা ও বোঝাপড়া রয়েছে। নিঃসন্দেহে, ভবিষ্যতে ফাইভজি অ্যাডভান্সড, হাই-স্পিড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ভোগ করতে হলে আমাদের চলমান ডিজাটালাইজেশনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী সত্যিকার অর্থে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘ফাইভজির সফল প্রস্তুতিতে অর্থবহ ইউজ কেস প্রয়োগে এবং দেশের সবার স্বার্থে ফাইভজিবান্ধব রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন— প্রতিষ্ঠানটির সিসিএও (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত, হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার, হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস মুহাম্মদ হাসান। অপরদিকে, টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন-সহ সংগঠনটির সব সদস্য সেশনে অংশ নেন।