‘নারীদের সুরক্ষিত রাখতে ডিজিটাল লিটারেসির ধারণা দিতে হবে’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারীদের সাইবার দুনিয়ায় সুরক্ষিত রাখতে এবং অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবার হাইজিন, অ্যাওয়ারনেস ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে।

সোমবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ফিউচার বাংলাদেশ: ভয়েসেস ফ্রম ইয়ং জেনারেশন’ শীর্ষক বিশেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দলনেতা ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তাজা। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে ইতোমধ্যেই অনেক নারীর সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে এখন যে কেউ ন্যশনাল হেল্প লাইন ৩৩৩ কলসেন্টারে ফোন করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য, অথবা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে কোনও পরামর্শ, সুপারিশ কিংবা আইনের আশ্রয় সহজেই নিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কলসেন্টার ৯৯৯-এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে আমরা আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন করেছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ চাইলে তাদের সঙ্গে  আইসিটি বিভাগ দেশজুড়ে সাইবার সিকিউরিটি ও সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামীণ তরুণদের আইসিটিতে সংযুক্ত করতে ২০১০ সালে ইউনিয়ন সার্ভিস সেন্টর স্থাপনের সময় একজন ছেলের সঙ্গে মেয়ে উদ্যোক্তা নিয়োগের যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি জানান, করোনাকালে আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী। শি-পাওয়ার প্রকল্পে ১৩ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। এবার ২৫০ কোটি টাকার ‘হার’ প্রকল্পের অধীনে আরও ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’র অধ্যাপক ড.তানিয়া হক।