ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রির উপযোগী স্মার্ট পাঠদান পদ্ধতি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। আজকের পৃথিবীতে শিক্ষা মানে ডিজিটাল প্রযুক্তির দক্ষতা শিক্ষা। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট জনশক্তি তৈরি করে আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের বিরাট সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইনক্লুসিভ হায়ার এডুকেশন: বাংলাদেশ কনটেক্সট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষায় প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর করা। আমরা কেবল প্রথাগত শিক্ষার সার্টফিকেট দেবো, কিন্তু তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা দেবো না, এটা হতে পারে না।’
মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘ইন্টারনেট ছাড়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারা এখন অকল্পনীয়। ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা ৩৮৪০ জিবিপিএসে উপনীত হয়েছে।’
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ডেভিড জে ব্রাউন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ্র এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর রাশেদা আক্তার বক্তৃতা করেন।
বক্তারা শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন জাতি বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।