সাইবার অপরাধের অন্যতম কারণ পাইরেটেড সফটওয়্যার

সম্প্রতি সারা বিশ্বে সাইবার হামলা বেড়েছে। বাংলাদেশেও সাইবার হামলার ঘটনা বাড়ছে। দেশ যেখানে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগোচ্ছে, সেখানে এ ধরনের ঘটনা যদি ধারাবাহিকভাবে ঘটতে থাকে, তাহলে তা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথে বড় হুমকিস্বরূপ।

এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির প্যারাগন কনভেনশন হলে সিসনোভা ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইটি প্রফেশনালদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কাজী ফার্মস লিমিটেডের ডিজিএম মো. তৌহিদুজ্জামান। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিসনোভা ইনফরমেশন সিস্টেম লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিহা জেরিন। কর্মশালাটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ৩০ জন আইটি প্রফেশনাল উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে গোটা পৃথিবীতে সাইবার হামলায় যেখানে ৩২৫ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেখানে ২০২১-২২ সালে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ বিলিয়ন ডলারে। গড়ে প্রতিদিন দুই লাখ ২২ হাজার সাইবার হামলা হচ্ছে। একটি সাইবার হামলা সফল করতে সময় লাগে মাত্র ১০ সেকেন্ড।

বক্তারা আরও জানান, বাংলাদেশে সাইবার অপরাধপ্রবণতার অন্যতম কারণ হলো পাইরেটেড সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু সমস্ত প্রোপ্রাইটরি সফ্টওয়্যারের জন্য লাইসেন্স কেনার মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা বেশ ব্যয়বহুল। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে মাইগ্রেট করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেসব কাজের জন্য পেইড সফটওয়্যার এবং ফ্রি সফটওয়্যার দুটোই পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে ফ্রি সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করলে বিপদের ঝুঁকি তুলনামূলক কম বলে জানান বক্তারা।

এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফিশিং লিক থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন বক্তারা। সেই সঙ্গে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা নিউরো লিঙ্গুইস্টিক প্রোগামিংয়ের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা যেমন ব্যক্তিগত তথ্য জরুরি ছাড়া কোনও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

সিসনোভার পক্ষ থেকে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা এখন আমাদের জন্য একটি বড় হুমকি। এ ছাড়া ৯৫ শতাংশ সফল আক্রমণের পেছনে কারণ হলো মানুষের ভুল। তাই এই বিষয়ে স্থানীয় আইটি প্রফেশনালদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।