মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির শঙ্কা

সাগরে সৃষ্টি হওয়া অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে পড়তে শুরু করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চলের আকাশ মেঘলা, উত্তরাঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণের আকাশে মেঘের আনাগোনা বেশি। বেশিরভাগ এলাকায় আজ শনিবার (১৩ মে) সকালে সূর্যের দেখা মেলেনি। মেঘের পাশাপাশি কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঝড়ের প্রভাবেই ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের আকাশ মেঘলা। উত্তরের তুলনায় দক্ষিণের অবস্থা বেশি খারাপ, কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হয়েছে। ঢাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হবে। ঝড় যত এগিয়ে আসবে ঝড়ের প্রভাব তত বাড়তে শুরু করবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাপ প্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুঁড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; তা কমতে পারে।

মোখার প্রভাবে যে বৃষ্টি হবে তাতে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে ঢাকার আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে এবং তা অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩০ থেলে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।