চৈত্রের দাপটে ঈদ উদযাপন, ৯ জেলায় তাপপ্রবাহ 

তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও চৈত্রের দাপট অনেকাংশেই রয়ে গেছে। এমন উত্তাপের মধ্যেই ঈদ উদযাপন করছে দেশবাসী। সোমবার (৩১ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা গতকাল অর্থাৎ রবিবার ছিল যশোরে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই হিসেবে গত তিন দিনের মধ্যে আজকের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি কমেছে। যদিও তাপপ্রবাহ বইছে এখনও। তবে রবিবার প্রায় ২১ জেলায় তাপপ্রবাহ বইলেও আজ তা কমে মাত্র ৯ জেলার ওপর দিয়ে বইছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

ঈশ্বরদী ছাড়া তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়া ৮ জেলার মধ্যে পটুয়াখালী ও টাঙ্গাইলে ৩৬, রাজশাহতে ৩৬ দশমিক ৪, চুয়াডাঙ্গা ও রাঙামাটিতে ৩৬ দশমিক ৫, বাঘাবাড়িতে ৩৬ দশমিক ৯, যশোর ও ঢাকা ৩৭,  ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলেন, ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ তীব্র আর ৪২ ডিগ্রির বেশ হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এখন দেশের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো না বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।