X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

নীতিমালা মেনে কমার্শিয়াল পেপারেও টাকা খাটাতে পারবে ব্যাংক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২২:৩৬আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২২:৩৬

বাংলাদেশ ব্যাংক এখন থেকে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কমার্শিয়াল পেপারেও টাকা খাটাতে পারবে। এ বিষয়ে রবিবার একটি নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নীতিমালা অনুযায়ী কমার্শিয়াল পেপার বা বাণিজ্যিক দলিল মুদ্রা বাজারের স্বল্পমেয়াদি উপাদান বা ঋণপণ্য (প্রতিজ্ঞাপত্র) হিসাবে বিবেচিত হবে।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এই দলিলের বিপরীতে দেওয়া হবে। কমার্শিয়াল পেপারের গ্রাহক মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কোনও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বল্প সময়ের জন্য ঋণের দরকার হলে বা চলতি মূলধনের জন্য কমার্শিয়াল পেপার ইস্যু করতে পারবে। এ ঋণ সর্বনিম্ন ৭ দিন থেকে ১ বছর মেয়াদি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা এই নীতিমালায় ব্যাংকগুলো কোন ধরণ ও মানের প্রতিষ্ঠানের কমার্শিয়াল পেপারে বিনিয়োগ করবে এবং বিনিয়োগ সীমা কত হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যাংকগুলো কর্মাশিয়াল পেপার ইস্যুর আয়োজন করে দিতে চাইলে তা নীতিমালা মেনে করতে হবে। তবে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুর ক্ষমতা থাকছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কমার্শিয়াল পেপারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত হবে। বাড়বে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বিশ্বাসযোগ্যতাও। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে সরাসরি ঋণ পাওয়ার সুযোগ ঘটায় ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল (ঋণ) সংগ্রহের ব্যয় কম হবে। এ কারণে বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুতে ঝুঁকছে। আর এ কারণেই গ্রাহক হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও টাকা খাটাচ্ছে। আবার কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনও কোনও ব্যাংক প্রধান আয়োজক হিসেবে বাজার থেকে অর্থ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে। এমন বাস্তবতায় কমার্শিয়াল পেপারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাধারণত বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্প গ্রুপ তাদের চলতি মূলধন জোগাড় করার জন্য কমার্শিয়াল পেপার ইস্যু করে। এটা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্যই করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষরাই এটি কিনে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে কমার্শিয়াল পেপারের মূল ক্রেতা তথা বিনিয়োগকারী হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংক। বাংলাদেশে এ ধরনের ঋণপণ্য ইস্যু করে সর্বপ্রথম ঋণ নেয় এসিআই গ্রুপ। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড প্রধান আয়োজক হিসেবে এসিআই’কে ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। ২০১৪ সালের জুনে এসিআই’কে একইভাবে ৭৫ কোটি টাকা ঋণ দেয় সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাণ অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এনভয় টেক্সটাইল, বেঙ্গল প্লাস্টিক, শান্ত প্রপার্টিজ, আমান ফিড কমার্শিয়াল পেপার ইস্যু করে তহবিল সংগ্রহ করেছে। সম্প্রতি কমার্শিয়াল পেপার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স লিমিটেড।

/জিএম/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
পশ্চিম তীরে ২৫ ফিলিস্তিনি আটক ইসরায়েলের
পশ্চিম তীরে ২৫ ফিলিস্তিনি আটক ইসরায়েলের
২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি
২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি
 ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি’
 ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি’
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?