রাজধানীর মিরপুরের ইসিবি চত্বর থেকে কালশী মোড় পর্যন্ত তৈরি হবে নতুন ফ্লাইওভার। এর দৈর্ঘ্য হবে ৮৪৪ দশমিক ১২ মিটার। একইসঙ্গে সড়কও সম্প্রসারণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ‘ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, উন্নয়ন ও কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিদ্যমান ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রসস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার (৮৪৪ দশমিক ১২ মিটার) নির্মাণ। মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ। সড়কে যানবাহন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও যানজট নিরস। সড়কের ফুটপাত, সাইকেল লেন, বাস-বে ও যাত্রী ছাউনীসহ বিভিন্ন সুবিধার উন্নয়ন। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।
উল্লেখ্য, মিরপুর থেকে বিমান বন্দর, উত্তরা ও টঙ্গী হয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার জন্য কালশী হয়ে জিয়া কলোনির রাস্তা দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওপর দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। রাস্তা ও ফ্লাইওভার নির্মাণের পর থেকে মিরপুর এলাকা থেকে এ রাস্তার ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার যানবাহন এই রাস্তা ব্যবহার করছে। এছাড়া, রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এখানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির অধীনে প্রায় ৬ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই ফ্ল্যাটগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ এলাকায় যান চলাচল আরও বাড়বে। উত্তরা থেকে মিরপুর-পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগকারী সড়কের অপ্রতুলতার জন্য উত্তরা, রামপুরা কিংবা মহাখালীর অধিবাসীরা মিরপুর যাওয়ার জন্য এ সড়ক ব্যবহার করে। এই প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে ট্রাফিক বিবেচনায় এনে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লাইওভারটি নির্মিত হলে মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।