X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকের বার্ষিক লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নীতিমালা জারি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ মে ২০২০, ২১:৪২আপডেট : ১১ মে ২০২০, ২১:৪৩

বাংলাদেশ ব্যাংক করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) ঘোষণার নতুন নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুসারে, মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না।
নতুন নীতিমালায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০১৯ সালে ব্যাংকগুলোর মুনাফার বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়টি নির্ভর করবে ওই ব্যাংকের মূলধন ভিত্তির ওপর। সবচেয়ে ভালো মূলধন থাকা একটি ব্যাংক ১৫ শতাংশ নগদসহ সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে যে ব্যাংকের মূলধন এর চেয়ে কম সে ব্যাংক তত কম লভ্যাংশ দেবে। তবে সবক্ষেত্রে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লভ্যাংশ বিতরণের ওপর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে শীর্ষ চাপ হতে উত্তরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে; তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যেন বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বণ্টন না করে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বাজার বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি নূন্যতম সে পরিমাণ মূলধন হিসাবে রাখতে হয়। এর বাইরে আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় (কনজারভেশন বাফার) হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ২০১৬ সাল থেকে অতিরিক্ত মূলধন রাখতে হচ্ছে। গত ডিসেম্বর শেষে আপৎকালীন সঞ্চয়সহ প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের কথা সাড়ে ১২ শতাংশ। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোতে মূলধন নির্ধারিত সীমার বেশি থাকলেও সরকারি ব্যাংকের প্রভাবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২০১৯ সালে মূলধন সংরক্ষণে কোনও সুবিধা না নিয়ে যেসব ব্যাংক আড়াই শতাংশ আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারভেশন বাফার) কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ বা তারও বেশি মূলধন সংরক্ষণ করেছে ওই সব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
মূলধন সংরক্ষণে কোনও সুবিধা না নিয়ে যেসব ব্যাংক আড়াই শতাংশ আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারভেশন বাফার) কমপক্ষে ১১ দশমিক ২৫ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২০১৯ সালে মূলধন সংরক্ষণে যারা সুবিধা নিয়েছে তারা তা সমন্বয় করার পর যদি আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারভেশন বাফার) ১১ দশমিক ২৫ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়, তাহলে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। এছাড়া যাদের আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ ন্যূনতম মূলধন ১১ দশমিক ২৫ শতাংশের কম বা ন্যূনতম মূলধন ১০ শতাংশ হবে তারা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক (বোনাস) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব ব্যাংক ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে ইতিপূর্বে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সে সব ব্যাংক ঘোষিত ডিভিডেন্ডের পরিমাণ সার্কুলারের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে তা স্থগিত করে শিগগিরই সংশোধন করতে হবে।

/জিএম/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তাপমাত্রা বাড়ায় কিছু লোডশেডিং হলেও এখন অবস্থা ভালো: নসরুল হামিদ
তাপমাত্রা বাড়ায় কিছু লোডশেডিং হলেও এখন অবস্থা ভালো: নসরুল হামিদ
১০ ও ১১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি
১০ ও ১১ মে রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
এক থানা থেকে দুই এসআই তিন এএসআই ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া