অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়াশীল নয়, প্রগতিশীল।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একেবারেই প্রগতিশীল দেশ। দেশের ডান দিকে (ডানপন্থী) কেউ নেই। যা আছে তাও খুব নগণ্য। তাই আমাদের বাজেটও প্রগতিশীল।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির অস্তিত্বে এখন কেউই সন্তুষ্ট নয়। এটা কোনও দলই নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারাও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাজেটে সাপ্লিমেনটারি ডিউটি তুলে দেওয়ায় দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অদূর ভবিষ্যতে মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ হবো। যেখানে কোনও শুল্ক থাকবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে থাকবে। সুতরাং মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ হতে আমাদের শুল্ক কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাপ্লিমেনটারি ডিউটি রাখা হয়েছিল রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশে। তখন এত রাজস্ব আদায় হতো না। এখন রাজস্ব আদায়ের পরিমান আগের তুলনায় বেশি। তাই সাপ্লিমেনটারি ডিউটি কমানো হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাতে দেশে কাস্টমস কমাতে হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি কমিয়ে কিভাবে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মূসক বাড়ানো হবে। যদিও আগামী অর্থবছর থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর করা হবে না। তারপরও মূসক কিছুটা বাড়ানো হবে।
বাজেট বাস্তবায়নের দক্ষতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (এডিপি) ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন যা ৯৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাজেটের দক্ষতার উন্নয়ন হয়েছে। আর এটা হয়েছে হাই টার্গেটের জন্য, যা হতেই থাকবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অর্থনীতির উদারীকরণ ও বিশ্বায়নের নামে আমরা এমন কোনও পদক্ষেপ নেব না যাতে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: মনে হচ্ছে বিনিয়োগে ‘ইতিবাচক ধাক্কা’ এসেছে: অর্থমন্ত্রী
/এসএনএইচ/এজে