X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও ‘মুজিব কিল্লা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ জুন ২০১৭, ১৯:৩৩আপডেট : ০১ জুন ২০১৭, ১৯:৪১

জাতীয় সংসদে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগ প্রবণ জেলায় ত্রাণ গুদাম নির্মাণ এবং মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। এটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। বেলা দেড়টা থেকে বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘প্রাকৃতিক ও অবস্থানগত কারণে আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলে পরিচিত। তবে যেকোনও ধরনের অভিঘাত মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সমাদৃত। এর পেছেনে রয়েছে জনগণের অদম্য মনোবল এবং সরকারের বাস্তবানুগ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, ও নীতি বা কৌশল। এরই অংশ হিসেবে সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা গ্রহণ করেছি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, ২০১৬-২০২০। ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোবাবিলায় সচেতনতা ও রেজিলিয়্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ রোধ, জলাবদ্ধতা সিরসন এবং সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারসহ চলমান অন্যান্য কার্যক্রম আমারা এগিয়ে নেব। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রায় ৮২৫ কোটি এবং হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ৬৮৫ কোটি টাকার দু’টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। পাশাপাশি এগিয়ে চলছে নদী ড্রেজিং ও ন্যাবতা বৃদ্ধির লক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আরও একটি প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়ক-কাম- বেড়ি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি আগামী অর্থ বছরে চর, হাওর ও পশ্চাৎপদ এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখেছি।’

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম সাড়ে চার লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ছয় লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

/সিএ/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত: বাংলাদেশ এলডিপি
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত: বাংলাদেশ এলডিপি
ছেলের হাতুড়ির আঘাতে বাবার মৃত্যু
ছেলের হাতুড়ির আঘাতে বাবার মৃত্যু
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
সর্বাধিক পঠিত
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল