X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহঋণের টাকাও চলে যাচ্ছে সেকেন্ড হোমে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুলাই ২০১৭, ০২:৩৭আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৭, ০২:৩৭

বিআইবিএম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়েছে, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অট্টালিকায় বসবাস করছেন। ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানতের অর্থ নানা কৌশলে তারা বিদেশে পাচার করে সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিআইবিএম আয়োজিত ‘হোমলোন অব ব্যাংকস: ট্রেন্ড অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিআইবিএমের সুপারনিউমারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অসাধু আবাসন ব্যবসায়ীদের অনেকে আবার ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করে বিক্রি করেছে; কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। এর কারণ হচ্ছে, তারা লোন পরিশোধ করছে না। তাই ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দিতে পারছে না। তাই গ্রাহকরা ফ্ল্যাট কিনেও রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না।’

বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.কে. সুর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মানুষ যাতে সহজে গৃহনির্মাণে ঋণ পেতে পারে সে ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে মধ্যবিত্তের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় সে কারণে সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গৃহঋণের নানা দিক বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আশা করা যায়, এই নীতিমালা হলে গ্রাহকরা সহজে ঋণ পাবেন।’

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মহিউদ্দিন সিদ্দিক; সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর ও ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, অন্যান্য সব ঋণের চেয়ে গৃহঋণে খেলাপি সবচেয়ে কম। ২০০৬ সালে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের রেশিও ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তখন গৃহঋণে খেলাপি ছিল এক দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ সময় গৃহঋণে খেলাপির হার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, গৃহঋণের অধিকাংশই পায় শহরের মানুষ। মোট ঋণের ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় শহরের বাসিন্দারা। গ্রামের মানুষ ঋণ পায় সাড়ে ১৬ শতাংশ।

বৈঠকে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এই ঋণ যাতে গ্রামের মানুষও পায়- তার ব্যবস্থা করতে হবে।’ গৃহঋণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোর সমাধান প্রয়োজন।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিক ব্যাংক ঋণ নিলেও তা সাইনবোর্ডে উল্লেখ করেন না। গৃহঋণে প্রভিশন দুই শতাংশের পরিবর্তে এক শতাংশ হলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আরও উৎসাহ বোধ করবে।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কান্ট্রি হেড আব্রার আনোয়ার বলেন, ‘গৃহঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে উচ্চ সুদ বড় বাধা। আগামীতে গৃহঋণে সুদহার কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গৃহঋণের সুযোগ দিতে হবে।’

জিএম/এএম

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!