X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বর্ষায় ‘রিয়েক্টর’ পৌঁছাবে রূপপুরে

সঞ্চিতা সীতু
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৫৬আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:১৭

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প (ফাইল ছবি) আগামী বর্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘রিয়েক্টর’ (সিলিন্ডার আকৃতির ভেসেল, যার নিচের অংশ উপবৃত্তাকার) এসে পৌঁছাবে। রিয়েক্টরগুলো ভারী ও বড়। বর্ষা মৌসুমে নদীর নাব্যতা থাকবে। তাই ওই সময়েই সেগুলো রূপপুর আনা হবে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপের সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান।

এর আগে মন্ত্রী রাশিয়ায় এইএম টেকনোলজি এটোমাস এই রিয়েক্টর তৈরির বর্তমান অবস্থা দেখে আসেন।

এদিকে, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।তবে রিয়েক্টরসহ অন্য যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটের রিয়েক্টর তৈরির কাজ চলছে।সম্প্রতি রিয়্যাক্টরের ওপর অংশের সেমি-ভেসেলের সংযোজন কাজ শেষ হয়েছে।এই প্রতিষ্ঠান রূপপুরের দু’টি ইউনিটের জন্য রিয়েক্টর, স্টিম জেনারেটর সেট ও টার্বাইন আইল্যান্ডের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করছে। কেন্দ্রের ছোট যন্ত্রগুলো এরইমধ্যে আসতে শুরু করেছে। আগামী বর্ষায় বড় এই যন্ত্রাংশগুলো আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্প্রতি রাশিয়ায় অবস্থিত কারখানাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় রূপপুর প্রকল্পের জন্য রিয়েক্টরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ করেন তারা।

কারখানায় কর্মরত প্রকৌশলীসহ অন্য শ্রমিকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আমরা কারখানা পরিদর্শন করেছি। সব বিশাল বিশাল যন্ত্র। এসব যন্ত্রের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে। এগুলো আগামী বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় আনা হবে। তবে ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশগুলো এরইমধ্যে আসা ‍শুরু করবে।’

 মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যে সর্বোচ্চ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।কাজের মান নিয়েও কোনও প্রশ্ন নেই।আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশ একটি যথাযথ ও উচ্চমানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পেতে যাচ্ছে।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান রসাটম। কেন্দ্রটিতে ৩য় প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে, প্রতিটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। রিয়্যাক্টরের আয়ুষ্কার ৬০ বছর। তবে তা আরও ২০ বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী