X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের ভর্তুকি না মিললে খুচরা বিদ্যুতের দাম হতে পারে ৬.৯২ পয়সা

সঞ্চিতা সীতু
০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:০৩আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:০৮

বিদ্যুতের মূল্য

এখন গড়ে প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের গড় দাম ৪ টাকা ৮৭ পয়সা। গত চারদিন কমিশনের শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সুপারিশ করেছে এবার পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যেতে পারে ৯৩ পয়সা। অর্থাৎ কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ মেনে নিলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দর হবে ৫ টাকা ৮০ পয়সা। এর সঙ্গে সঞ্চালন চার্জ আরও ৬ দশমিক ৯২ ভাগ মূল্য সমন্বয় করা হলে দাম আরও বাড়বে। এই অর্থের পুরোটা পাসথ্রু হিসেবে খুচরা পর্যায়ে পাঠানোর সঙ্গে যোগ হবে বিতরণ চার্জ। এই বিতরণ চার্জ যোগ করেই কমিশন খুচরা বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত শুনানিতে আসা প্রস্তাব এবং মূল্যায়ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুচরা বিদ্যুতের সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ৭ টাকা ২৬ পয়সার মতো। যদিও সরকার ভর্তুকির অংক ঠিক না করা পর্যন্ত এর সঠিক পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। 

কমিশন চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম শুনানিতে বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলোর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। তবে ভোক্তাদের স্বার্থ দেখতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে কমিশন মূল্যহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ শুনানির পর বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। তবে কখনও কখনও পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। ২০১০ সালের ১ মার্চ গ্রাহক পর্যায় ৬.৭ ভাগ বেড়েছিল। সেবার পাইকারিতে বাড়েনি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায় ৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১১ ভাগ বেড়েছিল। ২০১১ সালের ১ আগস্ট গ্রাহক পর্যায়ে বাড়েনি। তবে পাইকারিতে ৬ দশমিক ৬৬ ভাগ বাড়ানো হয়। ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ১৩ দশমিক ২৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১৬ দশমিক ৭৯ ভাগ বাড়ানো হয়। ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ১৫ ভাগ এবং পাইকারিতে ১৭ ভাগ, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট গ্রাহক পর্যায়ে ২ দশমিক ৯৩ ভাগ বাড়ানো হয়। সেবার পাইকারিতে বাড়েনি। এরপর সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ ভাগ বাড়ানো হয়। সেই সময়ও পাইকারিতে বাড়েনি।

বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো-না বাড়ানো সরকারের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে কতটা ভর্তুকি দিতে সম্মত হবে, তার হিসাবে দামের অংক নির্ধারণ করা হবে। তবে উৎপাদন পর্যায়ের অর্ধেক ভর্তুকি দিলেও প্রস্তাবের অর্ধেক বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হবে।

বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বলছে, পিডিবি যে ঘাটতির কথা বলছে, তা সমন্বয় করতে ইউনিট প্রতি ৯৩ পয়সা বাড়ানো প্রয়োজন। সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দেবে তা বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাকি অর্থ গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হতে পারে।

জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, পিডিবি তার মূল্যহার বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেনি। সঙ্গত কারণে এই দাম বৃদ্ধি করা সমীচীন হবে না। তবে দাম বৃদ্ধি সরকারের ভর্তুকির ওপর নির্ভর করে। বিইআরসি যে মূল্যায়ন করেছে, তার ওপর নির্ভর করে সরকার ভর্তুকি দেবে। সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার পরই বলা যাবে প্রকৃত অর্থে কতটা দাম বাড়ছে।

/টিএন/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: দরপত্র মূল্যায়নের সময় বেঁধে দিলো সরকার
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: দরপত্র মূল্যায়নের সময় বেঁধে দিলো সরকার
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট দিলেন মোদি
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট দিলেন মোদি
সিরিজ জয়ের ম্যাচের আড়ালে শান্তদের নিয়ে অন্য আলোচনা
সিরিজ জয়ের ম্যাচের আড়ালে শান্তদের নিয়ে অন্য আলোচনা
গ্রোসারি কেনাকাটায় টাকা সাশ্রয় করার ৬ স্মার্ট উপায়
গ্রোসারি কেনাকাটায় টাকা সাশ্রয় করার ৬ স্মার্ট উপায়
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?