X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

লুব্রিকেন্টের দামে ৭০০ টাকার ফারাক, মাথাব্যথা নেই বিতরণ কোম্পানির!

সঞ্চিতা সীতু
১৪ মে ২০২১, ১৪:২৩আপডেট : ১৪ মে ২০২১, ১৮:৫৬

গাড়ি চালাতে তেল যেমন প্রয়োজন, তেমনি লাগে লুব্রিকেন্টও। কিন্তু তেলের দাম সবখানে সমান হলেও লুব্রিকেন্টের দাম সমান নয়। ইচ্ছেমাফিক এর দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে।

খোদ জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মডেল ফিলিং স্টেশনে ভিসকো-৫০০০ মোবিল বিক্রি হয় ৪ হাজার ১০০ টাকায়। একই মোবিল অন্য জায়গায় কিনতে হয় চার হাজার ৮০০ টাকায়। একই মোবিলের দাম ৭০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে কেন?

জ্বালানি সচিব এমন প্রশ্ন ছোড়েন মেঘনা তেল বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদের কাছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বললেন, কোনও ডিলার এমন করলে তার লুব্রিকেন্ট সরবরাহই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সঠিক দামে সঠিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না তা দেখভালের লোক রয়েছে এসব বিপণন কোম্পানির। পেট্রোল পাম্পগুলো ঘুরে ঘুরে এসব দেখার দায়িত্ব তাদের। সভায় প্রশ্ন উঠেছে, তারা কি আদৌ দায়িত্ব পালন করছেন?

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক সভায় জানান, সম্প্রতি তিনি সিলেটে গিয়ে পদ্মা এবং যমুনা তেল বিপণন কোম্পানির দুটি পেট্রোল পাম্প পরিদর্শন করেন। দুটি পাম্পের পরিদর্শন বই যাচাই করে দেখেন, সরকারি তেল বিতরণ কোম্পানি দুটির কোনও কর্মকর্তাই পরিদর্শনে আসেন না। অর্থাৎ পাম্পগুলো কী করছে তার কোনও খোঁজই রাখছে না তেল বিতরণ কোম্পানিগুলো।

ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। কোন শ্রেণির কর্মকর্তা কতো দিন পরিদর্শন করবেন তার একটি তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি বিপিসিতে যোগ দেওয়ার পর কোনও ধরনের পরিদর্শন প্রতিবেদনও দেখেননি।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে এককভাবে বিপিসি তেল আমদানি করে পদ্মা, মেঘনা, এবং যমুনা বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করে। এই তিনটি কোম্পানিই সরকারি। এরা ডিলারের কাছে তেল বিক্রি করে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ডিজিএম-এজিএম পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গেলে ডিলারদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসার প্রয়োজন মনে করেন না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেল বিক্রি নেটওয়ার্ক তো সারাদেশে আছে। জ্বালানি এমন এক পণ্য যেখানে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ আছে। কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত পাম্পগুলো পরিদর্শন করেন, তবে সবাই সতর্ক থাকবে। লুব্রিকেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি এখন লুব্রিকেন্ট বিক্রি করে। এদের একেকটার মান এবং দাম ভিন্ন। গ্রেডও আলাদা। কোনওটা শিল্পের, আবার কোনওটা গাড়ির। মানুষ তো সব বোঝে না। দেখা যাচ্ছে, পাম্পগুলো কম গ্রেডের লুব্রিকেন্ট বেশি দামে বিক্রি করছে। একই সমস্যা দেখা যায় বিটুমিনের ক্ষেত্রেও। এজন্যই পরিদর্শনের ওপর জোর দিচ্ছি। যাতে এ প্রতারণা ও অনিয়ম বন্ধ হয়।’

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব ইউরোপ
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে সরব ইউরোপ
মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা