করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে প্রধান উপকরণ মাস্ক হওয়ায় তা বাধ্যতামূলক করা আছে। মাস্ক না থাকলে হচ্ছে জেল-জরিমানাও। কিন্তু করোনা ঠেকাতে নয়, জেল-জরিমানা থেকে রক্ষা পেতে সঙ্গে মাস্ক রাখলেও তা পরার ক্ষেত্রে অনীহা লক্ষণীয়। রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও তা মুখে সঠিক উপায়ে লাগিয়ে রাখার প্রবণতা কম। কেউ মাস্ক হাতে নিয়ে হাঁটছেন, কেউবা পকেটে এমনভাবে রেখেছেন যে সেটি দৃশ্যমান। অনেকটা, ‘আমার সঙ্গে মাস্ক আছে’—এমনটি প্রকাশ করা হচ্ছে।
কারোর এক কানে ঝুলিয়ে রাখা আছে মাস্ক। প্রচণ্ড গরমে মাস্কটা মাথায় দিয়েও বসে থাকতে দেখা গেছে বাসের মধ্যে। মাস্ক রাখাটাই নিয়ম, নাকি সঠিক উপায়ে পরে থাকতে হবে সে নিয়ে কারোর কোনও মাথাব্যাথা নেই।
রিকশার হাতলে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখে দিব্যি সারাদিন কাটিয়ে দিচ্ছেন চালক, মাঝপথে মাস্ক খুলে ফুটপাতে ফেলে দিয়ে হাঁটা দিচ্ছেন পথচারী। উভয়ের একই অভিযোগ, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
এদিকে আজ সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টগুলোকে আরও কঠোর হতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। যেভাবেই হোক বিষয়টি আরও বেশি বেশি করে প্রচার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহারে ফোর্স করতে বলা হয়েছে।