X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইউজিসি প্রতিবেদনে গবেষণাশূন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জবি প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৩৮আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৪৯

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গবেষণা সংখ্যা শূন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিলছে ভিন্ন তথ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মোট গবেষণা প্রকল্প সংখ্যা ১৪৩ ।

গত ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত ইউজিসি ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়। জবি ছাড়াও আরও ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা শূন্য দেখানো হয়েছে। তবে ইউজিসির এমন তথ্যে বিব্রত বোধ করছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ জার্নালে দেখা যায়, ২০১৮ - ১৯ শিক্ষাবর্ষে জবির গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিলো ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। একই শিক্ষাবর্ষে মোট বাস্তবায়ন হওয়া প্রকল্প ছিলো ১৪৩ টি। এছাড়াও গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে ১০টি।

আন্তর্জাতিক প্রকাশনা আছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাসের ১টি, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর ২টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামীর ১টি, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফুর রহমানের ২টি, একই বিভাগের ড. মো. শাহাজানের ৩টি।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপকের সংখ্যা ৯৬ জন। যার মধ্যে পিএইসডি শেষ করেছেন ৯৪ জন। বাকি ২ জন পিএইচডি অধ্যায়নরত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থী সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ ও ২৮।

গবেষণা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. নূর আলম আবদুল্লাহ বলেন, 'আমাদের ১৪৩টি গবেষণা বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৯ সালে। অধ্যাপকদের মধ্যে ২ জন ছাড়া সবার পিএইচডি শেষ। তবে তথ্যের গড়মিলের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, ঐসময় আমি গবেষণা দপ্তরের দায়িত্বে ছিলাম না।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য ও প্রতিবেদন সম্পাদনা পরিষদের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহযোগিতায় এর জন্য দায়ী। তিনি বলেন, 'জগন্নাথের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই গবেষণা থাকবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে তথ্য আহ্বান করি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বারবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলে না। আমাদের চেষ্টা থাকে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা। কিন্তু এ ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে সম্ভব হয় না। আগামীতে অনলাইনে অটোমেশনের চিন্তাভাবনা আছে আমাদের, যাতে এ ধরনের তথ্য বিভ্রাট মুক্ত থাকা যায়।

অসহযোগিতার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, 'তাদের লেখা উচিত ছিলো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমাদের গবেষণা চালু ছিলো না আগে, এমফিল-পিএইসডি প্রোগ্রাম চালুর পর থেকে আমাদের গবেষণা শুরু হয়। ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, অনেক পাবলিকেশন হয়েছে। তবে ১৯ সালের পরে আমাদের গবেষণা, প্রকাশনা আরও বেড়েছে। যেটা হয়েছে ইউজিসির সাথে তথ্য গ্যাপ হয়েছে।'

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
রংপুর হাসপাতালে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী, ৫ দিনে ২২ জনের মৃত্যু
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
তুর্কি মিডফিল্ডারের গোলে শিরোপার আরও কাছে রিয়াল মাদ্রিদ
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!