X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘এত কাজ কেউ করতে পারেনি, জিতলে আরও করবো’

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৪৯আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০১:৫৮

আগামী ৩০ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী। সম্প্রতি তার মেয়াদের সফলতা-ব্যর্থতা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, দলীয় ঐক্য ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয়ে তিনি কথা বলেন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে।

নির্বাচনি ব্যস্ততার ভেতরেই সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি রামগঞ্জ পৌরসভায় প্রথম মেয়াদ পার করে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে মনোনয়ন চেয়েছিলেন আরও অনেকে। এই বিভক্তি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কিনা?

আবুল খায়ের পাটোয়ারী: আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল। এখানে অনেক নেতা–কর্মী আছেন। অনেকের চাওয়া–পাওয়া আর প্রত্যাশাটাও বেশি। আর যখনই একটা ভোট আসবে দলের মনোনয়ন অনেকেই চাইবে, এটা স্বাভাবিক। ‘ইট ইজ অ্যা পার্ট অব পলিটিক্স।’ এটাকে অন্য কোনোভাবে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের সর্বশেষ ঠিকানা দলের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সর্বশেষ সিদ্ধান্তে তার ‘নৌকা’ প্রতীক আমাকে দিয়েছেন। এরপর আর বিভেদ নাই। আমরা সবাই আমার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি একসঙ্গে। আমরা সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করছি। এখানে কোনও দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে বলে মনে করি না। মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতা আর বিভাজন দুইটা আলাদা জিনিস।

পৌর নির্বাচন আপনার মেয়াদে সবচেয়ে বড় সফলতা কী বলে মনে করেন?                                                                                           আবুল খায়ের পাটোয়ারী: আমি একটা কথা বলতে পারি, আমার এখানে অতীতে যারা মেয়র বা চেয়ারম্যান ছিলেন তাদের থেকে অনেক বেশি কাজ আমি করেছি। এই মেয়াদে আমি প্রায় ৪২ কোটি টাকার কাজ করেছি। আরও কাজ এখনও চলমান। রামগঞ্জ কাঁচাবাজারের কাজ চলছে। পৌরসভার ভেতরের রাস্তার বেহাল দশা ছিল, আমি অনেক সংস্কার করেছি। এত টাকার কাজ অন্য কেউ করতে পারেননি। আমাদের আরও কাজ চলমান আছে, কিছু কাজ বাকি আছে।  আরও দু–তিনটা বড় প্রকল্পের কাজ বাকি আছে। এবার নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ এসব কাজ সম্পূর্ণ করবো বলে আশা করছি। 

কোনও ব্যর্থতা আছে কি? নিজে যদি মূল্যায়ন করেন কী বলবেন?

আবুল খায়ের পাটোয়ারী: মানুষের শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারিনি। এটাই বলতে পারেন ব্যর্থতা। আমি করতে পারতাম কিন্তু করিনি এমন কোনও কাজ নেই। আমি চেষ্টা করেছি, যতটুকু সম্ভব আমি করেছি। যেমন আমার আগের মেয়র যিনি ছিলেন তিনি ৪০টি ডিপ টিউবওয়েল দিয়েছেন। আর আমার পাঁচ বছরে ৫৮০টি ডিপ টিউবওয়েল দিয়েছি। কিছু অবশ্য এখনও বাকি আছে।  ৬ কিলোমিটার নতুন সড়কবাতি লাগিয়েছি। ১৫ কিলোমিটারের মতো পানির পাইপলাইন করেছি। রামগঞ্জ–সোনাপুর বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছি, যেটা এর আগে রামগঞ্জে ছিল না। সুতরাং আগের তুলনায় পার্থক্যটা পৌরবাসী বুঝতে পারবেন আশা করি। 

তবে পৌরবাসীর অভিযোগ রয়েছে, এখনও ওয়ার্ডগুলোর সড়কের অবস্থা ভালো নয়…।

আবুল খায়ের পাটোয়ারী:  পৌর মেয়র হলেও আমার কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এখানে অনেক বিভাগ, মন্ত্রণালয়, অধিদফতর জড়িত। আর গত এক বছর করোনার কারণে আমরা কোনও কাজই করতে পারিনি। আশা করছি এবার নির্বাচিত হলে আর কিছু বাকি থাকবে না।

নারী ও শিশু কল্যাণ, শিক্ষা, সামাজিক দায়িত্ব, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়ে কেমন ভূমিকা গত পাঁচ বছরে রাখতে পেরেছেন বলে মনে করেন?

আবুল খায়ের পাটোয়ারী: আমি রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, আঙ্গারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর–অভিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।  এছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষভাবে কাজ করেছি। অনেককে আমরা সেলাই মেশিন দিয়েছি।

পৌর নির্বাচনে জয়ী হলে কোন কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেবেন?

আবুল খায়ের পাটোয়ারী: জয়ী হলে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই।  বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমার নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছর ধরে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নির্বাচিত হলে স্থানীয় সরকারের একটি ইউনিট হিসেবে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নে আমি আবারও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই। ভোটাররা পাশে থাকলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই। যেসব সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি সেগুলো নির্মাণে ভূমিকা রাখতে চাই। পৌর এলাকাকে মাদকমুক্ত করে তরুণদের কর্মসংস্থান, জীবনমান উন্নয়ন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাবিধান, পৌরসভাজুড়ে সুপেয় পানি, সব সড়কে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা ও সংস্কার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা করা―মোটকথা রামগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আদর্শ পৌরসভায় পরিণত করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই