X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’

প্রভাষ আমিন
১৫ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৩আপডেট : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৯

প্রভাষ আমিন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এখন লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য। শেয়ারবাজারের মধু আগেই খাওয়া শেষ। ব্যাংকিং খাতে যেন অবাধে লুটপাট চলছে। সোনালী ব্যাংক লুট হয়ে গেছে,বেসিক ব্যাংক লুট হয়ে গেছে,ফারমার্স ব্যাংকের ভল্ট খালি হয়ে গেছে। এখন জানা যাচ্ছে,রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ভাণ্ডারও লুট হয়ে গেছে। লুটেরারা বোধহয় ‘মারি তো গণ্ডার,লটি তো ভাণ্ডার’ তত্ত্বে বিশ্বাসী। এসব লুটের ঘটনায় কিছু চুনোপুঁটি ধরা হলেও রাঘব বোয়ালরা বিচরণ করছেন আরামসেই। লুটের সময় বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন আবদুল হাই বাচ্চু। অর্থমন্ত্রী অনেকবার বেসিক ব্যাংক লুটের জন্য আবদুল হাই বাচ্চুকে দায়ী করলেও তিনি বহাল তবিয়তেই মুক্ত মানুষের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাঝে মাঝে দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এত বড় একজন সন্দেহভাজন কেন কারাগারে থাকবেন না? এখন জানা যাচ্ছে, বেসিক ব্যাংক ডুবিয়ে তিনি সাগরে জাহাজ ভাসিয়েছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়ে দ্রুততম সময়ে ফারমার্স ব্যাংকের ভাণ্ডার বিলিয়ে দেন। ফারমার্স ব্যাংকের পরিণতি এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো ব্যাংকিং খাতেই। ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে,কমে যাচ্ছে ব্যাংকে আমানত রাখার প্রবণতাও। কিন্তু ফারমার্স ব্যাংককে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্রেফ পদত্যাগ করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আস্ত একটি ব্যাংককে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়ার শাস্তি শুধু পদত্যাগ! কাউকেই কি দায় নিতে হবে না?

আগে ব্যাংক ডাকাতি হতো। ডাকাতরা অস্ত্র নিয়ে এসে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যেত। এ নিয়ে অনেক কৌতুকও আছে। ডাকাতদল ডাকাতি শেষে টাকা গুনতে বসলো। কিন্তু সর্দার বললো,কষ্ট করে গোনার দরকার নেই। কালকের পত্রিকায় পাওয়া যাবে। কিন্তু ডাকাতের ওপরও বাটপার আছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা ভাবলো, ডাকাতি যখন হয়েছেই,এক কোটিও যা,দুই কোটিও তা। তারা সাংবাদিকদের জানালো,দুই কোটি টাকা ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা বিশ্বাস করে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করলেও তাদের হিসাব আর পত্রিকার হিসাব মিললো না। মাসের পর মাস পরিকল্পনা করে সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংক ডাকাতির গল্পও সবার জানা। কিন্তু এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে ব্যাংক ডাকাতির কৌশলও ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন আর অস্ত্র নিয়ে বা সুড়ঙ্গ কেটে ডাকাতি করতে হয় না। এখন কিছু কাগুজে কোম্পানি গঠন করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকের টাকা লোপাট করে দেওয়া যায়। বাংলাদেশে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। সংখ্যাটা আরেকবার পড়ুন- এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। কত টাকায় এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়,আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা এখনও একক, দশক, শতক, সহস্র, অযুত, লক্ষ, নিযুত, কোটি—এভাবে গুনি। কিন্তু এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা লিখতে কয়টি শূন্য দিতে হবে হিসাব করতে পারছি না। সাধারণ ক্যালকুলেটরেও আটবে বলে মনে হয় না। এরমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ৪৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপন মানে মাফ করে দিয়েছে। তাই কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

ঋণ কীভাবে খেলাপি হয় আমার মাথায় ঢোকে না। ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাংকের পর্যাপ্ত গ্যারান্টি নেওয়ার কথা বা কোনও না কোনও সম্পদ মর্টগেজ রাখার কথা। যাতে ঋণের টাকা ফেরত না দিলে সেই গ্যারান্টরকে ধরবে বা মর্টগেজ রাখা সম্পদ বিক্রি করে টাকা আদায় করতে পারে। তাহলে এত টাকা খেলাপি হলো কীভাবে? তার মানে ভালো গ্যারান্টর বা সম্পদ ছাড়াই নিয়ম না মেনে ঋণ দেওয়া হয়েছে। তাই দায় যতটা ঋণগ্রহীতার, তারচেয়ে বেশি ঋণদাতার। উদ্ধার হবে না জেনেও যারা এক লাখ ২৫ হাজার টাকা বিলি করেছে,তাদের কয়জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ব্যাংক কর্মকর্তারা যদি জানেন,বিলি করা ঋণ ফেরত না পেলে তাকে শাস্তি পেতে হবে, জেলে যেতে হবে, চাকরি হারাতে হবে; তাহলে নিশ্চয়ই তিনি প্রয়োজনীয় সম্পদ মর্টগেজ না করলে ঋণ দেবেন না। এখন সবাই যেন বুঝে গেছে, কোনোরকমে ব্যাংকের টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে আনতে পারলেই হলো। তারপর আর এই টাকা ফেরত দিতে হবে না, ফেরত না দিলে শাস্তি পেতে হবে না। এটা যদি সবাই বুঝে যান,তাহলে আর কোন বোকা ঋণ ফেরত দেবে। আচ্ছা এই এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা কার? অবশ্যই আমাদের মতো আমজনতার টাকা। আমাদের ট্যাক্স,ব্যাংকে রাখা আমানত থেকেই তারা ফেরত পাবে না জেনেও ঋণ দেয়। ব্যাংকের ভাণ্ডার খালি করে তারা আবার নির্লজ্জের মতো সরকারের কাছে,বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকা চায়;যাতে আবার ঋণ দিতে পারে। কিন্তু ব্যাংকিং খাত যেন সত্যিকারের তলাবিহীন ঝুড়ি, এক অন্তহীন ব্ল্যাকহোল। এখানে যতই টাকা ঢালেন,কূল পাবেন না।

এমনিতে আপনি কোনও ব্যাংকে দুই লাখ টাকা ঋণ চাইতে যান,আপনার চৌদ্দগোষ্ঠীর খবর নিয়ে ছাড়বে। স্যালারি সার্টিফিকেট,ব্যাংক স্টেটমেন্ট, গ্যারান্টর, হেনতেন কতকিছু লাগবে। তারপর টাকা যদি আপনি পান,ঋণের কিস্তির তারিখ মিস করলেই ফোন,দুই মাস মিস করলে গ্যারান্টরের কাছেও ফোন যাবে,তিন মাস মিস করলে বাংলাদেশ ব্যাংক আপনাকে কালো তালিকাভুক্ত করবে;আপনি আর কোনও ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন না। ঋণের টাকা আদায়ের জন্য তারা আপনার বাড়িঘরেও হানা দেবে,মাস্তানি করবে। কিন্তু এই কড়াকড়ি সব যেন আমজনতার জন্য। বড় বড় চোরের জন্য নয়। তারা টাকা নেয়,তারপর ফেরত না দিয়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

বাংলাদেশে শেয়ারবাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ডেসটিনিসহ আর্থিক খাতে দুর্নীতি যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী মাঝে মাঝে হুঙ্কার দেন বটে, কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ঘুষ দিয়ে কাজ করানো এখন বাংলাদেশে জায়েজ হয়ে গেছে। ঘুষ নিয়েও কাজ না করাটাই দুর্নীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করবেন,ব্যবসায়ীরা টাকা নিয়ে মেরে দেবেন;সত্যিই এটা আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু জনতা ব্যাংকের কেলেঙ্কারির খবর শুনে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছি। জনতা ব্যাংক থেকে অ্যাননটেক্স নামে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি ব্যবসায়ী গ্রুপকে ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দফায় দফায় মোট ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ইউনুছ বাদল নামে এক ভুঁইফোড় ব্যবসায়ী গড়ে তুলেছেন এই অ্যাননটেক্স গ্রুপ,যাতে এখন প্রতিষ্ঠান আছে ২২টি। ২০০৭ সালে এই ইউনুছ বাদলকে গাড়ি চোর চক্রের নেতা হিসেবে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০০৭ সালের গাড়ি চোর ২০১৮ সালেই ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ঋণ পাওয়া ২২ প্রতিষ্ঠানের শিল্প গ্রুপের মালিক বনে গেলেন কীভাবে? কোন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের দেখা পেয়ে গেলেন তিনি? অজানা আশ্চর্য প্রদীপ ঘষে গাড়ি চোর থেকে শিল্পপতি ইউনুছ বাদল নিয়ে আমার কোনও বিস্ময় নেই। আমার বিস্ময়,যে সময় সব আইন-কানুন ভেঙে একটি গ্রুপকে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে,তখন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল বারকাত। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছিলেন। তার সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বাংলাদেশের টাকা নিয়ে গিয়েছিল ফিলিপাইনের জুয়াড়িরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তারা সততা,দক্ষতায় উৎকর্ষের পরিচয় দেবেন এই প্রত্যাশ্যায়। কিন্তু সেই প্রত্যাশা চরম হতাশায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাকের সঙ্গে ড. আতিউর রহমান জড়িত ছিলেন এমন অভিযোগ কেউ করেনি। তবে তিনি ঘটনা সামাল দিতে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি আসলে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অদক্ষতার দায় কাঁধে নিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তবে অদক্ষতা আর অসততা এক নয়।

ড. আতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অদক্ষতার আর আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ অসততার। নিয়ম অনুযায়ী জনতা ব্যাংক মোট মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারে। কিন্তু অ্যাননটেক্স গ্রুপকেই দেওয়া হয়েছে মূলধনের দ্বিগুণ ঋণ। তার মানে গাড়ি চোর ইউনুছ বাদলকে আবুল বারকাতের নেতৃত্বধীন জনতা ব্যাংক নির্ধারিত সীমার আটগুণ ঋণ দিয়েছে। এ ব্যাপারে আবুল বারকাত কোনও ব্যাখ্যা দেননি। তবে ব্যাখ্যা দেওয়ারও কিছু নেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, একাধিক মন্ত্রী, ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যাংকের সিবিএ নেতাদের সুপারিশে ইউনুছ বাদলকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারির যুক্তি হিসেবে এমনও বলা হচ্ছে, অ্যাননটেক্সের ঋণ তো এখনও খেলাপি হয়নি, নিয়মিত পরিশোধ করছে। কিন্তু খেলাপি হয়নি বলেই খেলাপি হবে না,তার গ্যারান্টি কী? আর গ্যারান্টি থাকলেই কি কোনও গ্রুপকে নির্ধারিত সীমার আটগুণ ঋণ দিতে হবে? আবুল বারকাত কোনও ব্যাখ্যা দেননি বটে। কিন্তু আমার ধারণা, খুব ভালো ব্যাখ্যা নেই বলেই তিনি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না। তিনি চেয়ারম্যান থাকার সময় একজন গাড়ি চোরকে নিয়ম ভেঙে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল,এটা জলের মতো পরিষ্কার। তিনি যত ব্যাখ্যাই দেন,এই সত্য উল্টে যাবে না। যদি মন্ত্রী বা ব্যাংক কর্মকর্তা বা সিবিএ নেতাদের সুপারিশেও এ ঋণ দেওয়া হয়;তাও আবুল বারকাত দায় এড়াতে পারবেন না। অন্যায় সুপারিশ যদি এড়াতে না-ই পারেন, তাহলে তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলেন কেন? তখনই সংবাদ সম্মেলন করে এই তদবিরবাজদের নাম প্রকাশ করেননি কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়েও যদি তিনি তদবিরবাজদের মুখের ওপর না বলতে পারেন,তাহলে আর ভরসার জায়গা কোথায়? তবে নিছক তদবিরের চাপে পড়েই আবুল বারকাত ৫ হাজার ৫০৪ কোটি ঋণ দিয়ে দিয়েছেন, এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ নেই। লাখ টাকা বা নিছক কোটি টাকা হলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু লাখ কোটিও নয়,এটা হাজার কোটি টাকার গল্প। আবুল বারকাত সরল মনে কাউকে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আপনারা কেউ করবেন কিনা সেটা আপনাদের ব্যাপার। অনিয়ম করে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা দেওয়ার সঙ্গে আবুল বারকাতের কোনও আর্থিক সংযোগ ছিল না,এটা বিশ্বাস করতে হলে, আমাকে মানতে হবে তিনি চরম অদক্ষ এবং অথর্ব। সেটা মনে হয় না। বরং আবুল বারকাত অনেক চতুর। ব্যাংকিং খাতের এই লুটপাটের পুরো ঘটনায় আমার সবচেয়ে বড় বেদনার জায়গা এটিই। হলমার্ক, ডেসটিনি, বিসমিল্লাহ, অ্যাননটেক্স বা বাচ্চু,বাদল, মখা নিয়ে আমার অত মাথাব্যথা নেই। এটা যেন আমরা মেনেই নিয়েছি। কিন্তু আবুল বারকাতের মতো মানুষের ব্যাপারে যখন আর্থিক অসততার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ ওঠে, বেদনাটা অনেক বেশি হয়। কারণ, আবুল বারকাত আমাদের কাছে অনেক সম্মানের আসনে ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান,লেখালেখি করেন, গবেষণা করেন, বই লেখেন, জাতির বিবেকের মতো আচরণ করেন। কিন্তু বিবেকের এই পচন,এই পতনই আমাদের বেদনার্ত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও যদি এমন অদক্ষ বা অসৎ হন, তাহলে আমরা যাবো কোথায়,ভরসা রাখবো কার ওপর? অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ অনেক আগেই বলেছিলেন,সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। তার সেই ভবিষ্যদ্বাণীই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ: এস জয়শঙ্কর
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ: এস জয়শঙ্কর
প্রথম ধাপে ৭ শতাংশ কোটিপতি প্রার্থী
উপজেলা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ৭ শতাংশ কোটিপতি প্রার্থী
আপাতত মেনশন নয়, আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী চলবে মামলার শুনানি
আপাতত মেনশন নয়, আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী চলবে মামলার শুনানি
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ