বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় গৃহবধূ দিলরুবা বেগমকে (২০) হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত দিলরুবা বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া গ্রামের মোশারফ খানের মেয়ে। দু’মাস আগে বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামের শামীমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক খান বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিহত দিলরুবার স্বামী শামীম হাওলাদার, শ্বশুর আলম হাওলাদার, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, বড় বোন শিল্পী, মেজো ভগ্নিপতি আলামিন এবং দেবর সুমনসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।’
পরিদর্শক ফারুক খান জানান, দিলরুবাকে হত্যা করা হয়েছে, এটা নিশ্চিত। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান জানান, পারিবারিক বিরোধ, প্রেম কিংবা অন্য কোনও বিষয় নিয়ে দিলরুবাকে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ সবগুলো বিষয় সামনে রেখে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বানারীপাড়ার নরোত্তমপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির সামনের রাস্তার পাশ থেকে দিলরুবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরনে সালোয়ার কামিজ, বোরখা এবং গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক খান বলেন, ‘দিলরুবা এবং তার মেজো বোনের জামাই একই উপজেলার সলিয়া বাকপুর গ্রামে বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে যান।
ওই রাতে তারা নরোত্তমপুর গ্রামে স্থানীয় একটি মেলায় যান। মেলা থেকে নিরুদ্দেশ হন দিলরুবা। পরে রাস্তার পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
/এপিএইচ/
আরও পড়ুন: মধ্যরাতেও অবরুদ্ধ রুয়েট উপাচার্য