X
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আমের ব্যবসা ও পল্লী চিকিৎসকের কাজ করতেন ‘বড় হুজুর’

আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
০৪ মার্চ ২০১৭, ০১:২৭আপডেট : ০৪ মার্চ ২০১৭, ০১:৩০

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার আবুল কাশেম নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা ও ‘বড় হুজুর’ বলে পরিচিত মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় আমের ব্যবসা ও পল্লী চিকিৎসকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাঠি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাঠি গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  যদিও কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের কাছ থেকে আবুল কাশেম সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি দোকানের বিকাশ নম্বরে এক ভক্তের পাঠানো টাকা নিতে এলে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

কোদালকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় ডাডিয়ারচর বাজারে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিতেন এবং নিজ বাগানের আম বিক্রি করতেন। এরপর কুড়িগ্রামের বাইরে কোনও মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে আমরা শুনেছি। তবে তিনি জেএমবি সঙ্গে জড়িত এমন কোনও তথ্য আমরা আগে কখনও শুনিনি। এলাকায় তিনি ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।’

চিরিরবন্দরের এই মাদ্রাসায় চাকরি তরতো আবুল কাশেম জানা গেছে, সাত ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক মাওলানা আবুল কাশেমের স্ত্রীর নাম মমতাজ বেগম। বাড়ির পাশের জমিতে তাদের একটি আম বাগান রয়েছে। ডাডিয়ার চর গ্রামে করিম মণ্ডলের বাড়ির পাশে একটি মক্তবে ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষাও দিতেন জেএমবির বড় হজুর বলে পরিচিত এই মাওলানা। বিভিন্ন সময় তিনি স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যও দিতেন বলে স্থানীয়রা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন। সর্বশেষ এক বছর আগে তাকে রাজিবপুরে নিজ এলাকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে তিনি নিখোঁজ হন।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাডিয়ারচর গ্রামের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘এলাকায় সজ্জন হিসেবে পরিচিত আবুল কাশেম নদী ভাঙ্গনের কারণে কোদালকাটি ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন। দুই এলাকাতেই তিনি অত্যন্ত ভালো ব্যাক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম মৃত শওকত আলী প্রামাণিক। গ্রেফতার হওয়ার আগে তার সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক খবর আমরা পায়নি।’

এদিকে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেও তাকে কখনও এলাকায় পাইনি।’

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও মো. শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম নামে কোনও জেএমবি সদস্যের তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই।’

অভিযোগ আছে আবুল কামেশ নব্য জেএমবির বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জিহাদ, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সদস্যদের হিংস্র করে তুলতেন এই ‘বড় হুজুর’। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ বেশ কয়েকটি নাশকতা চালানোর অনুমোদনও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদন বাতিল, বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে চুক্তি
ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদন বাতিল, বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে চুক্তি
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়ে ছাই ১০ দোকান
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়ে ছাই ১০ দোকান
আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
সর্বাধিক পঠিত
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিফুল দিয়ে বরণ, রিট দিয়ে শুরু কোন্দল!
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
জাহাজে ওঠার পর কোরআনের সুরা শুনিয়ে দস্যুদের নিবৃত্ত করা হয়
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এমপিও আবেদন সরাসরি অধিদফতরে পাঠানো যাবে না
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প
এডিপি: সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে যে ১০ প্রকল্প