বরিশালের সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকা সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া পয়েন্টে যাত্রীবাহী এম.ভি. গ্রীন লাইন-২ লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে গেছে কয়লা বোঝাই একটি কার্গো ট্রলার। তবে ডুবতে ডুবতে তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে লঞ্চটি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছিল গ্রীন লাইন-২। এই লঞ্চে থাকা ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার এম মহিউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সারেং সামনের ট্রলার দেখতে পায়নি। সংঘর্ষের পর ট্রলারটি পুরোপুরি ডুবে গেছে। তবে আমরা ডোবার আগেই তীরে আসতে পেরেছি সবাই।’
লঞ্চের যাত্রী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কার্গোটি ঢাকা থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বরিশাল থেকে বিকাল ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় গ্রীন লাইন-২। লামছড়ি ভাঙ্গনকবলিত এলাকা অতিক্রমকালে কার্গোর সঙ্গে দ্রুতগামী লঞ্চটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কার্গোটি ডুবে যায়।
এদিকে গ্রীন লাইন-২ লঞ্চের নিচের অংশ ফেটে পানি উঠতে শুরু করলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে লঞ্চের চার শতাধিক যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় বিকল্প পথে লামছড়ি এলাকার তীরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা এবং বরিশাল নৌ-বন্দরের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, একটি কয়লা বোঝাই কার্গোর সঙ্গে গ্রীন লাইনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কার্গোটি ডুবে গেলেও লঞ্চের যাত্রীরা অক্ষত আছেন। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে গ্রীন লাইনের সব যাত্রীদের নামিয়ে সুন্দরবন-১২ লঞ্চে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাহাজের ক্রুরাও নিরাপদে তীরে পৌঁছেছেন। উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিএ’র বরিশাল বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু।
/ইউআই/জেএইচ/