X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে জোয়ারের পানিতে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
২৯ মে ২০১৭, ২২:২৯আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ২২:৩৩

সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত গ্রাম ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের এসব গ্রাম প্লাবিত হয়।

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, সমিতি পাড়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। ফলে জোয়ারের পানিতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি ও হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মাইকিং করছে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জানান, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর রেড ক্রিসেন্ট কক্সবাজার ইউনিটের ৫৫ জনের একটি টিম তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করাসহ লোকজনকে সরিয়ে আনছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, রাতের জোয়ারে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ইতোমধ্যে ওইসব এলাকায়  স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া কক্সবাজার শহরসহ জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত দুলাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে। একারণে গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় থাকা ৪১৪টি ইউনিটের ছয় হাজার ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা।

/এপিএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ