X
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
২ আষাঢ় ১৪৩২

এমপি বদিকে ‘অভদ্র’ বললেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
০৬ জুন ২০১৭, ০৩:১৮আপডেট : ০৬ জুন ২০১৭, ০৩:২৭

আবদুর রহমান বদি কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদি-র বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারকে ঘিরে তোলপাড় চলছে তার নির্বাচনি এলাকা উখিয়া-টেকনাফসহ পুরো কক্সবাজার জেলায়। ওই সাক্ষাৎকারের জবাবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয় তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ৫ জুন সোমবার রাতে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন এমপি বদি সাক্ষাৎকারে অভদ্র ও নির্লজ্জের মতো কথা বলছেন। তার অভিধানে দুইটি মাত্র শব্দ আছে। শব্দ দুটি হচ্ছে বেঈমানি ও প্রতারণা। এর বাস্তব প্রয়োগ দেখা গেছে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।

ইশতিয়াক আহমদ জয় লিখেছেন, মাদকের প্রভাবে অনেকে ধরাকে সরাজ্ঞান করেন। এমপি বদির ক্ষেত্রে এমন কিছু হয়েছে কিনা কে জানে?

হঠাৎ করে কেন এই স্ট্যাটাস? জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে সাক্ষাৎকারে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তা আমি একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। কারণ, তিনি যে ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন তা কোনোভাবেই একজন সংসদ সদস্যের বক্তব্য হতে পারে না।

এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে এমপি আব্দুর রহমান বদি-র মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এমপি বদিকে ‘অভদ্র’ বললেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়-এর দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:

গতকাল বাংলা ট্রিবিউনের অনলাইন এডিশনে মাননীয় সাংসদ এমপি বদি মহোদয়ের একটি সাক্ষাৎকার অডিও লিংক সহ ছাপানো হয়েছে ।

সাক্ষাৎকারটি ছিল খুবই ছোট।

আকারে ছোট একটি সাক্ষাৎকার পড়ে বড় মাপের মেজাজ খারাপ এতো সহজে হতে পারে তা আগে জানা ছিলো না আমার।

সাক্ষাৎকারে প্রথমেই পত্রিকার সাংবাদিক খুব সম্ভবত ফোন কলে মাননীয় সাংসদ মহোদয় কে প্রশ্ন করেছেন-

"যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন আগামীতে আপনাকে আর দল থেকে মনোয়ন দেবেন না।"

সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ করার আগেই অভদ্রের মতো এমপি বদি সাংবাদিককে থামিয়ে দিয়ে বলেন-

"সেটা কি আপনি শুনেছেন?"

প্রশ্ন শেষ করার আগেই উল্টো বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন শুনে সাংবাদিক কিছুটা বিব্রত হয়ে বলেন-

"না শুনি নাই, পড়েছি। আর বিভিন্ন পর্ত্রিকায় লেখা দেখেছি।

মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের জবাবদিহিতার সৎ সাহস না থাকায় বিষয়টাকে উড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে সাংবাদিক কে প্রতি উত্তরে বলেন-

"লেখা দেখে থাকলে সেটা দেখে আপনিও যা ইচ্ছা তাই লিখুন।"

এমনভাবে তিনি কথাগুলো বললেন যাতে মনে হয় তিনি আইন, বিচার, ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে এমন এক জয়গায় অবস্থান করছেন যেখানে কে তাকে নিয়ে কি বলছে না বলছে এতে তার কিছুই যায় আসে না।

ইশতিয়াক আহমদ জয়

এরপর সাংবাদিক আবারো আগ্রহ নিয়ে সাংসদ মহোদয় কে প্রশ্ন করেন-"তাহলে ঘটনাটি কী?"

এমপি বদি বদমেজাজি কন্ঠে বলেন-

"কোনও ঘটনাই নেই, কোনও ঘটনা ঘটেও নাই"।

বাহ!!!

কি দারুণ উত্তর!!!

এমনভাবে বললেন যে,কোন ঘটনা ঘটেনি তাতে মনে হলো আসলেই কোন ঘটনা ঘটেনি।

আহারে কোন ঘটনা ঘটেনি না বলে যদি এমপি বদি বলতেন- "আমার এখনো জন্মই হয় নি", তাহলে বিষয় টা আরও দারুণ হতো।

এমপি বদিকে ঘটনার সত্যতার দিকে একটু তাড়া করতে সাংবাদিক এরপর কোন প্রশ্ন করলেন না শুধু একটি বাক্য বলে বদিকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সেদিনের কথা।

সাংবাদিক সাংসদ মহোদয় কে বললেন-

আপনি ও ওবায়দুল কাদের সাহেব তো একসঙ্গে ছিলেন।"

এমপি বদি খুব নির্লিপ্তভাবে বললেন-"ইয়েস, আমরা দুজন তো একসঙ্গেই..."

যে দলের মনোনয়ন নিয়ে আবদুর রহমান বদি এমপি হয়েছেন সে দলের সাধারণ সম্পাদকের প্রসঙ্গ আসার পর এমপি বদি এমনভাবে "আমরা দুজন তো একসঙ্গেই.." বলেন, তাতে মনে হয় তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা বলেন নাই, বলেছেন পাড়ার কোন ছোট ভাইয়ের কথা কিংবা বন্ধুর কথা। অথচ প্রশ্ন করার সময় সময় সাংবাদিক "ওবায়দুল কাদের সাহেব" বলেছেন। কিন্তু এমপি বদি অবশ্য সাংবাদিকের মতো এরকম ভদ্রতা দেখানোর কোন প্রয়োজন মনে করেন নি।

কি জানি ...

হয়তো ইয়াবা পাচারের মতোন হয়তো ভদ্রতাও সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার হয়ে যাচ্ছে উনার!!!

এমপি বদিকে ‘অভদ্র’ বললেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি

ভদ্রতা না দেখালেও যেহেতু এমপি মহোদয় স্বীকার করেছেন জনাব ওবায়দুল কাদেরের সাথে তার দ্যাখা হওয়ার ব্যাপারটা সেহেতু সাংবাদিক বহুল আলোচিত প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন এমপি বদির দিকে।

মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদেরের কথাটা কোড করে সাংবাদিক বললেন-

যতদূর জানি উনি আপনার নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাটের ভয়াবহ অবস্থা দেখেই আপনাকে বলেছেন "তোমাকে আর মনোনয়ন দেব না।"

মাননীয় সাংসদ বদি এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে

টিটকারি করে বললেন- "ভেরিগুড"। কোন কিছুর সাথে দ্বিমত করার আগে "ভেরি গুড", "খুব ভালো", "ওহ আচ্ছা, তাই নাকি?" "হুম, আচ্ছা, আচ্ছা" - এই রকম শব্দ ব্যবহার করা হয় তুচ্ছার্থে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরের সাথে এমপি বদির বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনার উত্তর দিতে গিয়ে, এমপি বদি নিজেকে বিশাল মাপের এক মহামানব দাবি করে, জনাব ওবায়দুল কাদেরের দিকে উল্টো অভিযোগের আঙুল তোলেন।

মাদকের প্রভাবে অনেকে ধরা কে সরা জ্ঞান করেন এমপি বদির ক্ষেত্রে এরকম কিছু হয়েছে কিনা কে জানে।

এরপর সাংসদ বদি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন-

ভেরিগুড।

এই রাস্তা আমার নাকি সড়ক ও জনপদের?

গত চার বছর ধরে ভেড়িবাঁধ মেরামত হয় না। এটা সড়ক ও জনপথের রাস্তা। মেরামতের দায়িত্ব যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আমার না।"

মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের কাছে জানতে চাই, আপনার কাজ কি তবে শুধুই ইয়াবার ব্যবসা?

দেশের একমাত্র জনপ্রিয় সাংসদ মহোদয়ের কথা শুনে আমার মনে হল রাস্তা করবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, খাদ্য নিশ্চিত করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য উৎপাদন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়, সুশাসন নিশ্চিত করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষার জন্য আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়.... এরকম প্রত্যেকটা কাজ করবে একেকটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা, আর উনি সীমান্তের ওপার থেকে মাদকের চালান আনবেন আর হাওয়া খাবেন...

হাওয়া বাতাস খাওয়ার কথা না বলে(!)

এমপি বদিকে কি কারণে জনাব ওবায়দুল কাদের এরকম একটা প্রশ্ন করলেন, সে ব্যাপারে এমপি বদির কি মতামত তা জানতে চেয়ে সাংবাদিক এবার প্রশ্ন ছুড়লেন-"ওবায়দুল কাদের সাহেব তাহলে এ রকম কথা বললেন কেন?"

এই প্রশ্নের উত্তরে এমপি বদি এমন এক উত্তর দিলেন যা আগের প্রশ্নের উত্তরের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

কি সেবনের ফলে এরকম অসামঞ্জস্য কথাবার্তা একজন জনপ্রতিনিধি বলতে পারে তা ভাবতে ভাবতে এমপি বদির উত্তরটা পড়ুন। এমপি বদি জবাব ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেছেন -

"এসব কথা আমাকে তিনি বলেননি।

আমি কিছু জানিও না। আমার এন্ট্রি যারা আছেন, তারাই এসব বলেন। আমাকে কেউ এ বিষয়ে প্রশ্নও করেননি। আমি শুনিও নাই। আমি তো জনপ্রতিনিধি। আমার এলাকার জনগণের কথাই শুনতে হবে।"

যদি এরকম কোন কথা জবাব ওবায়দুল কাদের

এমপি বদিকে না বলে থাকেন, তাহলে আগের প্রশ্নের উত্তরে কেনো এমপি বদি ঘটনার সত্যতা অস্বীকার না করে উল্টো জনাব ওবায়দুল কাদেরকে দোষী করলেন? সাংবাদিকের কাছে প্রথমে এমপি বদি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অন্যের ঘাড়ে চাপালেন।আর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলেন। নিজেকে নির্দোষ দাবী করেও এমপি বদি নিরাপদ বোধ না করায় ২০ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো ঘটনাটাকেই অস্বীকার করলেন। এমপি বদির মতো এতো দ্রুত রঙ বদলাতে কি স্বয়ং গিরগিটি ও পারবে ??

সাংবাদিক এমপি বদিকে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সংবাদপত্রে উল্লিখিত সেদিনের সেই আলোচিত ঘটনার প্রেক্ষাপট। সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন-

"যে রাস্তা দিয়ে আপনারা যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তা ভাঙাচোরা ছিল, তখন যোগাযোগমন্ত্রী এই কথা বলেছিলেন কিনা?"

এমপি বদিকে ‘অভদ্র’ বললেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি

এমপি বদি বললেন-

রাস্তা খারাপ! রাস্তা তো উনার, আমার না। রাস্তা যদি খারাপ হয়, তাহলে দোষটা কার? কার রাস্তার দোষ কার ঘাড়ে এসে পড়বে? যে রাস্তা দিয়ে তিনি গেছেন, সেটা যোগাযোগমন্ত্রীর নাকি এমপি বদির?

সেই রাস্তার মেইটেনেন্স কি এমপি বদি করবেন নাকি যোগাযোগমন্ত্রী করবেন? ওই রাস্তার মালিক এমপি বদি নাকি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়? আমি যদি রাস্তার মালিক হয়ে থাকি তাহলে মন্ত্রী যা বলেছেন তা সত্য। আর যদি রাস্তার মালিক না হয়ে থাকি তাহলে মন্ত্রী কিছু বলেননি। আমার এন্ট্রি সাংবাদিকরা মিথ্যা লিখে দিয়েছেন। তারা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছেন।"

এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বললাম না। আমি আগেই লিখেছি - এমপি বদির কথা শুনে মনে হলো, রাস্তা করবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, খাদ্য নিশ্চিত করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য উৎপাদন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়, সুশাসন নিশ্চিত করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষার জন্য আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়.... এরকম প্রত্যেকটা কাজ করবে একেকটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা আর উনি বসে বসে মনের সুখে ধোঁয়া উড়াবেন।

রাস্তার দায়িত্বটা জনাব ওবায়দুল কাদেরের উপর ছেড়ে দিলেও এমপি বদি নমিনেশনের দায়িত্বটা কারও উপরে ছাড়লেন না রেখে দিলেন সযত্নে নিজের কাছেই।

"আপনাকে নমিনেশন দেওয়া হবে না..." - সাংবাদিকের একথার উত্তরে এমপি বদি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর নিজের অবস্থান ও ক্ষমতা একই মাত্রার তা প্রমাণের চেষ্টা করে বললেন-

"এখন কাউকে নমিনেশন দিচ্ছে না। সামনে নির্বাচনের নমিনেশন দেওয়ার কথা এখনও সময় আসেনি। আমি যতদিন এমপি আছি যোগাযোগমন্ত্রীও ততদিন এমপি আছেন। উনার মন্ত্রিত্ব চলে যেতে পারে তবে তিনি এমপি থাকবেন। তারপর সাংসদ মহোদয় বললেন -

উনি যতদিন এমপি থাকবেন আমিও ততদিন থাকব। ঠিক কিনা বলেন? যখন সংসদ ভেঙে যাবে তখন প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন কাকে নমিনেশন দেবেন। আমার প্রতিপক্ষ কয়েকটা আছে না? তারা এসব লেখাচ্ছে। তারা নমিনেশন চায়। তারা একটু মজা নেওয়ার জন্য লিখছে। আমিও মজা নিচ্ছি। আমিও বলছি তোরা লেখ।"

আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্ত্রীত্ব যেকোন

সময় চলে যেতে পারে এরকম ইঙ্গিত দিয়ে এমপি বদি কি বুঝাতে চাইলেন তা পুরোপুরি স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে এমপি বদি তাঁর ক্ষমতার জোর কতোটুকু তা পরোক্ষভাবে কথাবার্তার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা চালিয়েছেন।

এমপি বদির মূল বক্তব্যটা জানতে চেয়ে সাংবাদিক তাঁর কাছে প্রশ্ন করলেন-

"তাহলে আপনার মূল কথা কী?"

এইবার তিনি পুরো ঘটনাকে অস্বীকার করলেন না, কিছুটা স্বীকার কারলেন। মৃদুভাবে স্বীকার করে রাস্তাটাকে তুলে দিলেন জনাব ওবায়দুল কাদেরের ঘাড়ে, আর নিজের অভিযোগগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করলেন সাংবাদিকদের। শিশুর মতো নিষ্পাপ - এরকম মুখোশে এমপি বদি বললেন-

"রাস্তাটি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। পত্রিকায় মন্ত্রীর বক্তব্য দিয়ে যা ছাপা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য, না বুঝে, না শুনে এই কথাটুকু বলেছে। যা আদৌ সত্য না। সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে প্রয়োজন হলে মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।"

জবাব ওবায়দুল কাদেরের ঘাড়ে বদির চাপিয়ে দেওয়া রাস্তাটার ভার কিভাবে সহ্য করবো তা বুঝতে পারছি না। একজন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর মুখে আমার প্রিয় নেতা সম্পর্কে এরকম কুরুচিপূর্ণ ও কটুক্তিমূলক বক্তব্য সহ্য করার ক্ষমতা মহান আল্লাহ আমাকে ও আমার মতো অন্যান্যদের বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিকদের দিক - এই কামনা করি।

যা-ই হোক, সবশেষে সাংবাদিক জানতে এমপি বদির উদ্দেশ্যে বলেন-"মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী আপনার ওপর ক্ষুব্ধ?"

এমপি বদি নির্লজ্জভাবে বলেন-

"আমার মামলার সঙ্গে মন্ত্রীর ক্ষুব্ধ থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা মতো অনেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিই আছেন, তারাও সংসদে যান। আমি সাজাপ্রাপ্ত হলে কিভাবে সংসদে যাই? সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে প্রশ্ন করলে আমার উত্তরটা পেয়ে যাবেন।"

কি অসাধারণ যুক্তি এমপি বদির, তিনি অপরাধ করে মামলা খাবেন, কিন্তু এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হওয়া যাবে না। অপরাধ করলে ক্ষুব্ধ না হয়ে কি মুগ্ধ হতে হবে?

সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন এমপি বদিকে আর এমপি বদি নিজে যথাযথভাবে উত্তর না দিয়ে যেতে বললেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের কাছে। সাংবাদিক উত্তর খুঁজতে এরশাদ সাহেবের কাছে যান নি, তবে এমপি বদি আওয়ামী লীগ থেকে অবাঞ্জিত হয়ে মনোনয়নের জন্য জনাব এরশাদ সাহেবের কাছে গেলেও যেতে পারেন। কারণ আপনার অভিধানে দুইটি মাত্র শব্দ আছে। শব্দ দুটি হলো- 'বেঈমানি' ও 'প্রতারণা'। এই শব্দ দুটির বাস্তবিক প্রয়োগ দেখেছিলাম গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। আপনার নির্বাচনী আসনের অন্তর্গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম আপনার কালো হাতের কারসাজি। আপনার ষড়যন্ত্র ও মদদে প্রশাসনের কয়েকজন নীতিভ্রষ্ট সদস্যরা আমাকে সহ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ১৩ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। ফলাফল কি হয়েছিলো মনে আছে কি হে সংসদ সদস্য? ২০ মিনিটস এর বেশী আটক রাখতে পারেননি জনগণের রোষানলে পড়ে। আর তখন থেকেই আপনাকে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ অবাঞ্জিত ঘোষণা করেছিলো। অবাঞ্জিত হয়েও কি আপনার স্বাদ মেটেনি? এখন কি লাঞ্ছিত হতে চান? এত নির্লজ্জ কেন আপনি....

/এমপি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ অক্টোবর
নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ অক্টোবর
শাহবাগে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ
শাহবাগে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ঢাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
কলকাতায় ভয়াবহ আগুনে পুড়লো ৪০০ দোকান
কলকাতায় ভয়াবহ আগুনে পুড়লো ৪০০ দোকান
সর্বাধিক পঠিত
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
তাণ্ডব: প্রশ্নবিদ্ধ এক ছবি, রেটিং ৬/১০
সিনেমা সমালোচনাতাণ্ডব: প্রশ্নবিদ্ধ এক ছবি, রেটিং ৬/১০
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
রেমিট্যান্সের জোয়ারে হঠাৎ ভাটার টান
রেমিট্যান্সের জোয়ারে হঠাৎ ভাটার টান