X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঈদ আছে, ঈদ নেই !

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
২৬ জুন ২০১৭, ০৫:৫১আপডেট : ২৬ জুন ২০১৭, ০৬:০২





ঈদ ফিরে আসা মানে পদ্মায় হারিয়ে যাওয়া আপনজনের লাশ স্মৃতিপটে ভেসে ওঠা। ছবি- প্রতিনিধি আজ ঈদ। খুশির ঈদ। ধনী-গরিব সবার জন্য। কিন্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিহত পরিবারগুলোর জন্য নয়। তাদের কাছে ঈদ ফিরে আসা মানে স্বজন হারানোর বেদনা নতুন করে জাগিয়ে তোলা। ঈদ ফিরে আসা মানে পদ্মায় হারিয়ে যাওয়া আপনজনের লাশ স্মৃতিপটে ভেসে ওঠা। ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরের দিন বুধবারের (৩০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার ঘটনা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে পদ্মা নদীর মাঝখানে প্রবল স্রোতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১২ জন নিখোঁজ হয়। পরে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজও নিখোঁজ কেয়ামনি (৫) নামের এক শিশু। তিন বছর পর আবারও এসেছে খুশির ঈদ। কিন্তু সন্তান ও স্বজন হারানো পরিবারের জন্য বয়ে এনেছে বুক ভরা কষ্ট, আর হাহাকার। সেদিন যারা বেঁচে এসেছে তারাও আজ বাকরুদ্ধ। সেদিনের নৌকাডুবির ঘটনায় কেউ স্ত্রী, সন্তান, আবার কেউ হারিয়েছেন বাবা। আনন্দের দিনে সব হারানো পরিবারগুলোর মাঝে স্মৃতি বলতে এখন শুধু রয়েছে কান্না আর অ্যালবামের রাখা ছবি।

পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ফারাকপুর গ্রামের মেডিক্যাল কলেজছাত্রী বিভার বাবা আবু বক্কর কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের আর ঈদের আনন্দ কোনওদিনই ফিরে আসবে না। ঈদ আসা মানে আমাদের সন্তান হারানো বুকফাটা কষ্ট আর আর্তনাদ। একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন গংগারামপুর গ্রামের নিহত স্কুলছাত্রী বিথীর বাবা বাবুল হোসেন। এদিকে নিহত সাহাজুলের ঘরে রয়েছে ছোট দুটি অবুঝ শিশু। বাবাহারা দুই শিশুর মা ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে নতুন সংসার বেঁধেছে। সেও আর এখন নিজ সন্তানদের খবর রাখে না। ২০১৪ সালে পদ্মায় নৌকাডুবিতে অবুঝ দুই শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে। এখন তারা বড়ই অসহায়। বৃদ্ধ অসহায় দাদি তাদের একমাত্র অবলম্বন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরের দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে বিভিন্ন বয়সী ২০-২২ জন যাত্রী নৌকায় ওঠেন। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামে পদ্মা নদীর মাঝখানে প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। অর্ধেক যাত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ১২ জন নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে বিভা (২২), শিপন (২৬), শাহাজুল (২৮), স্বপন (২০), ইমরান (১০) ও তার বোন শিখা (২০); বিথী (১০), তিন্নি (৭), সন্ধ্যা (৮), সুবর্না (৬) ও কালুর (২৫) লাশ উদ্ধার হলেও আজও নিখোঁজ রয়েছে কেয়ামনি (৫) নামে এক শিশু।

/এনআই/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
হজ পালন করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
হজ পালন করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশির মৃত্যু
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে ইরানে
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে অনিশ্চয়তা ছড়াচ্ছে ইরানে
বার্সার রানার্সআপ হওয়ার দিনে ধাক্কা খেলো রিয়াল 
বার্সার রানার্সআপ হওয়ার দিনে ধাক্কা খেলো রিয়াল 
সর্বাধিক পঠিত
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ