X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১০ বছরে রাজশাহী অঞ্চলে কর আদায় বেড়েছে তিনগুণ

দুলাল আবদুল্লাহ, রাজশাহী
১৩ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৪৪আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৩

 গত দশ বছেরের আদায়কৃত করের হিসাব

গত ১০ বছরে রাজশাহী অঞ্চলে কর আদায় বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। ২০০৭-০৮ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কর সংগ্রহের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাজশাহী কর অঞ্চলের মধ্যে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাগুলো পড়েছে। 

রাজশাহী কর অঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ সালে ১৫৪ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কর আদায় হয়েছে ১৭৬ দশমিক ০৪ কোটি টাকা। এটাই বেড়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গিয়ে আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৮৩২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও মাত্র চার মাসে (অক্টোবর পর্যন্ত) ১৮০ দশমিক ৫০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

এর আগে ২০০৮-০৯ সালে কর আদায় হয়েছে ১৭৭ দশমিক ২১ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ সালে  ১৮৪ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা, ২০১০-১১ সালে ২২০ দশমিক ১৭ কোটি টাকা, ২০১১-১২ সালে ২২৫ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ সালে ২১৯ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ সালে ৩২১ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ সালে ৫৮১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা।

অপরদিকে ২০১০-১১ অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গিয়ে তা দাঁড়ায় এক  লাখ তিন হাজার ২৮৩ জনে। এছাড়াও ২০১৭-২০১৮ চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫ হাজার ৬২১ জন রিটার্ন  দাখিল করেছেন।

রাজশাহী কর অঞ্চল অফিস সূত্রে জানা আরও গেছে, গত ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কর মেলায় রাজশাহী অঞ্চলে আয়কর আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৭ টাকা। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় আয়কর আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৬ টাকা। রাজশাহী অঞ্চলে নতুন করদাতা হচ্ছেন ৯২১ জন। এরমধ্যে রাজশাহী জেলার নতুন করদাতা পাওয়া গেছে ৫১৪ জন। এছাড়া রাজশাহী অঞ্চলে মোট করদাতা হচ্ছে এক  লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৭ জন। এরমধ্যে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে নতুন করদাতা হলো ১০ হাজার ১৪০ জন।

কর অঞ্চল রাজশাহীর উপ কর কমিশনার মো. মোশরাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা জরিপ কার্যক্রমের পাশাপাশি কর পরিদর্শকের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আয়কর নথি আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হয়। বড় ব্যবসায়ীরা কর প্রদান না করলে সাধারণ মানুষও উৎসাহিত হবে না। তাই আমরা প্রত্যেককে করের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’ শুধু তাই নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও প্রশাসনিক পদের ব্যক্তির বেতন কাঠামো যাই হোক, তাকে বাধ্যতামূলক আয়কর  রির্টান দাখিল করে ই-টিআইএন গ্রহণ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজশাহীর কর বাহাদুর আব্দুল গাফফার বলেন, ‘সবাই যখন এক সঙ্গে কর দেন, তখন বিশাল একটা অর্থ জমা হয়। সরকার তখন তা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করতে পারে। এভাবে অর্থটা কিন্তু আবার আমাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে সরকার। এজন্য সবারই কর দেওয়া উচিত।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কর বাহাদুর অ্যাডভোকেট এফ কে এম লৎফর রহমান বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ৯ জন সদস্য কর দিয়ে থাকি। আমরা অন্যদেরও কর প্রদানে উৎসাহিত করি। কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা বিদেশি ঋণের নির্ভরতা কমাতে চাই।’

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শেখ জামালের জন্মদিন আজ
শেখ জামালের জন্মদিন আজ
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই