X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন: ৩ শিবির নেতাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

সিলেট প্রতিনিধি
২০ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১৮আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১৯

২০১২ সালের ৮ জুলাই রাতে আগুনে পুড়ে যায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন লাগানোর ঘটনায় তিন শিবির নেতাসহ মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রবিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরার আদালত থেকে শাহপরাণ থানার জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) অফিসে পরোয়ানাগুলো পাঠানো হয়েছে। জিআরও ছমির চন্দ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহপরাণ থানার জিআরও ছমির চন্দ বলেন, ‘আদালত থেকে ৩২ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরোয়ানাগুলো আসামিদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এই ৩২ জনের মধ্যে ২৯ জন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও বাকি ৩ জন শিবিরের।’

২০১২ সালের ৮ জুলাই রাতে আগুনে পুড়ে যায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস

আগুন লাগানোর ঘটনার আগে ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর হামলাকারী তিন শিবির নেতাকে ‘উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্তে। অভিযুক্তরা হলেন- ওই সময়কার এমসি কলেজ শাখার শিবিরের সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেন, রাসেল মিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিন শিবির নেতাকে অভিযুক্ত করা প্রসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে যে- ছাত্রলীগ কর্মীকে আঘাত করে গুরুতর জখম করায় এমসি কলেজে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।এরপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর হামলাটি চালায় শিবিরের মনোয়ার, রাসেল ও জাহাঙ্গীর।’  

২০১২ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ

আদালত সূত্র জানায়, বিচার বিভাগীয় তদন্তে দুই ভাগে ঘটনাটি দেখা হয়েছে। প্রথম ভাগে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা সৃষ্টি ও দ্বিতীয় ভাগে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। তাৎক্ষণিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হিসেবে এমসি কলেজ শিবিরের তৎকালীন সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেন, রাসেল মিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রথমত, ছাত্রলীগের কর্মী উজ্জ্বল আহমেদকে শিবির কর্মীরা গুরুতর জখম করায় এমসি কলেজে তাৎক্ষনিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমসি কলেজের পাঁচটি ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।’

২০১২ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ

জানা যায়, শিবির নেতা এস এম মনোয়ার হোসেনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ-চান্দপুর গ্রামে। তিনি ছাত্রাবাসের বাসিন্দা ছিলেন না। তিনি থাকতেন পাশের টিলাগড় এলাকায়। রাসেল মিয়ার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পালপুর গ্রামে। অপর অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীরের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাঁশতলা গ্রামে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শত বছরের পুরনো মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস। পুড়ে যায় হোস্টেলের প্রথম, দ্বিয়ীয় ও চতুর্থ ব্লক। এ ঘটনায় হোস্টেলের হল সুপার বশির আহমদ বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ২০১২ সালের ১৩ জুলাই মামলা দায়ের করেন। তদন্ত চলাকালে আরও দুটি মামলা হয় আদালতে। এ দুটি মামলাও বশির আহমদের দায়ের করা মামলার সঙ্গে নথিভুক্ত করা হয়।

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
ইংল্যান্ডের হাতে ইউরো ট্রফি দেখার অপেক্ষায় গার্দিওলা
ইংল্যান্ডের হাতে ইউরো ট্রফি দেখার অপেক্ষায় গার্দিওলা
নোয়াখালীতে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
নোয়াখালীতে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
একই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মা-ছেলে ও নাতি
একই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মা-ছেলে ও নাতি
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে