X
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মহাদেবপুরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ

নওগাঁ প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৬আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৩১

দিগন্ত জুড়ে শুধু হলুদ আর হলুদ বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁর অন্যতম খাদ্য ভান্ডার মহাদেবপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। এ অঞ্চলে ফসলের ক্ষেতে দৃষ্টি জুড়ে শুধুই হলুদের সমারোহ।

গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবার সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবেন বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এবার কৃষকরা ৮শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১১, হাইল্যান্ড ও সম্পদ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। তবে এখনও কোনও কোনও মাঠে বীজ বপন চলছে। তাই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, বছরের পর বছর স্থানীয় জাত চাষ করে ফলন কম হওয়া ও উৎপাদনে সময় বেশি লাগার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষ কমিয়ে দেন। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে উপজেলা কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে। এ দুটি জাতের সরিষা মাত্র ৭৫-৮০ দিনে ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় প্রায় দেড় হাজার কেজি। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

উপজেলার নাটশাল গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘এ বছরতিন বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বিঘাপ্রতি প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাম্পার ফলন হবে।’ একই গ্রামের কৃষক মকলেসুর রহমান বলেন, ‘গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবার চাষ করেছি চার বিঘা।’

উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক আজিবর রহমান বলেন,‘কৃষি অফিসের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন,‘কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বারি-১৪ ও বারি-১৫ সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এ সরিষা উত্তোলন করে বোরো আবাদ করতে পারেন বলে এটাকে কৃষকরা “ফাও ফসল” হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। ’

তিনি আরও জানান, বারি-১৪ জাতের সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বদলি হজ কী, নারী কি পুরুষের বদলি হজ আদায় করতে পারবে?
বদলি হজ কী, নারী কি পুরুষের বদলি হজ আদায় করতে পারবে?
সাদকে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা
সাদকে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা
তৃতীয় দিনের মতো যমুনার সামনে জবির আন্দোলনকারীরা
তৃতীয় দিনের মতো যমুনার সামনে জবির আন্দোলনকারীরা
নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা
বাজেট: অর্থবছর ২০২৫-২৬নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা
সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা মাউশির
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে জরুরি নির্দেশনা মাউশির
কমলো স্বর্ণের দাম, কার্যকর শুক্রবার থেকে
কমলো স্বর্ণের দাম, কার্যকর শুক্রবার থেকে
ফ্যাক্টরি পোড়ানোর হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে বিমানবন্দর থেকে আটক
ফ্যাক্টরি পোড়ানোর হুমকি দেওয়া সেই বিএনপি নেতাকে বিমানবন্দর থেকে আটক
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ অনুমোদন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ অনুমোদন
বাংলাদেশসহ ৫ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশের অনুষ্ঠান স্থগিত করলো ভারত
বাংলাদেশসহ ৫ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশের অনুষ্ঠান স্থগিত করলো ভারত