X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলেকে ফেরত চাইলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:২০আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৪৯

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সন্ধান দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন ‘প্রধানমন্ত্রী আপনিও একজন স্বজনহারা। স্বজনহারাদের কত যে কষ্ট আপনি তা বোঝেন। আমার কষ্টটাও আপনি বুঝবেন। তাই আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিন। আমার ছেলে যদি কোনও দোষ করে থাকে তাহলে তাকে গ্রেফতার করেন, শাস্তি দিন, ফাঁসি দিন। তারপরও আমার ছেলেকে আমাদের সামনে নিয়ে আসুন।’কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নিখোঁজ সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাত হোসেন সবুজের সন্ধান দাবিতে এমন আকুতিই জানিয়েছেন তার মা সাহিদা বেগম।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শেখ সাজ্জাত হোসেন সবুজের সন্ধানের দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তার পরিবারের সদস্যরা। এতে উপস্থিত সবুজের আট বছরের মেয়ে সুমাইয়া আকুতি জানিয়ে বলে, ‘আমার বাবাকে ফেরত দিন, আমার বাবাকে আমি ফেরত চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে শেখ সাজ্জাত হোসেন সবুজের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া বলেন, ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট থেকে সবুজ নিখোঁজ রয়েছে। তবে এ বছরের ২০ আগস্ট সর্বশেষ আমার স্বামীর খবর পাই। তখন গাজীপুর জেলার মাওনা এলাকার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোনে জানায়, র্যা ব সদস্যরা ওই রিসোর্টের প্রধান ফটক কেটে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে রেখে রিসোর্টের মালিক মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। এ সময় সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবু ও সবুজকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে লাবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিছু জিজ্ঞাসা করো না, আমি কিছুই বলতে পারবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ আগস্ট ২০১৫ সালে শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজ ও লাবু অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে মজমপুর ম্যুরাল চত্বরে জড়ো হন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ দলীয় কর্মসূচির শেষমুহূর্তে সবুজ ও লাবু দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মজমপুর বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বর ত্যাগ করার সময় কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ও তার ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মোমিজের বেয়াই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস মোমিজের শটগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে। এ ঘটনার সময় সবুজ নামের একজন ছুরিকাঘাতে খুন হয়। সবুজের খুনের ঘটনায় আমার স্বামী শেখ সাজ্জাত হোসেন সবুজকে প্রধান আসামি এবং আমার দেবর আরিফুর রহমান সজীব এবং মামাশ্বশুর দুলালকে আসামি করা হয়।’

শেখ সাজ্জাতের স্ত্রী দাবি করেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার স্বামী সবুজ এবং দেবর কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার সময় আমার স্বামী সবুজ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ছিলেন। এক মিনিটের জন্যও তিনি নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে অন্যত্র যাননি। ঘটনার সময় সাংবাদিকদের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখলেও এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘এ হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। তা না হলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে দল থেকে বহিষ্কৃত মোমিজ এতদিন পর ওই শোক মিছিলে কেন অংশ নিলেন? এ সময় তিনি প্রশাসনকে সবুজ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবি জানান।’

 

/এইচএন/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
পিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগপিছিয়ে পড়েও জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার