X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চালু হলো ‘শান্তিখানা’

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:০৩আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:৪৩

শান্তিখানা উদ্বোধন করেন আরআরআরসি প্রধান মো. আবুল কালাম, ইউএনএইচসিআরের প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর আন্না পেলোসি ও অন্যরা কক্সবাজারের উখিয়ায় নানামুখী সেবা দিতে রোহিঙ্গা শিবিরের নারীদের জন্য চালু করা হলো ‘শান্তিখানা’। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুতুপালংয়ের চার নম্বর ক্যাম্পের বর্ধিতাংশে এই সমন্বিত কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) প্রধান মো. আবুল কালাম। এ সময় ইউএনএইচসিআরের প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর আন্না পেলোসি, কর্মকর্তা রেহেমা মিরোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কেন্দ্রের পৃথক কক্ষে দক্ষতা উন্নয়ন, বিনোদনমূলক কার্যক্রম, জেন্ডারভিত্তিক ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতার প্রশিক্ষণ ও মনোসামাজিক সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আলাদাভাবে শিশু, কিশোরী এবং মায়েদের সেবা দেওয়া হবে। এখানে রয়েছে গভীর নলকূপ, গোসলখানা, বিশ্রাম কর্নার, মাতৃদুগ্ধ পান করানোর কর্নার ও বাগান।

ইউএনএইচসিআরের প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর আন্না পেলোসি বলেন, ‘এটি শুধু নারী ও মেয়েশিশুদের জন্য কেবল নিরাপদ স্থানই নয়; পরস্পরের মতবিনিময়, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন এবং তাদের সমাজের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারবে।’

এই বিষয়ে ব্র্যাকের স্থপতি সাদ বিন মোস্তফা বলেন, ‘স্থাপনা হিসেবে এটি ছোট হলেও এখানে তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’ এ সময় স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুস সালাম ইউএনএইচসিআর ও আরআরআরসির সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলুন্নিসা নামের এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, ‘আগে আমরা একটা পাখির বাসার মতো ঝুপরি ঘরে থাকতাম। কোনও নিরাপত্তাই ছিল না। এখানে এসে আমরা আমরা স্বস্তি ও সমর্থন পাই। তাই আমরা এর নাম দিয়েছি  “শান্তিখানা”।’

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় আশ্রিতদের ৫২ শতাংশই নারী ও কন্যাশিশু। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা, মৌলিক চাহিদা, আইনগত সহায়তা, নিরাপত্তা ও আয়বর্ধনমূলক কার্যক্রম অপর্যাপ্ত।

সুরক্ষা কর্মকর্তা (প্রটেকশন অফিসার) এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরামর্শ ও  মতামত নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় এই কেন্দ্র নির্মাণ করেছে ব্র্যাকের টেকনিক্যাল টিম। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদের অধিকতর সেবা-সুবিধা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে এই ‘শান্তিখানা’।

বর্তমানে এই ক্যাম্পে নয়টি নারীবান্ধব পরিসর, আটটি কমিউনিটি সেন্টার এবং নয়টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালনা করছে ব্র্যাক। আগামীতে আরও চারটি নারীবান্ধব কেন্দ্র এবং পুরুষদের জন্য আটটি কেন্দ্র স্থাপনসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য এই কর্মসূচি বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে রয়েছে বলে জানান তারা।

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
দিনাজপুরে একসঙ্গে ২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ
উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
উপজেলা নির্বাচন আগের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে: ইসি হাবিব
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
জেসি অনভিজ্ঞ বলেই আপত্তি ছিল মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই