বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান শামীমকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরতলির দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের পাশে জোড়গাছা জয়বাংলা হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, গভীর রাতে জয়বাংলা হাটের পাশে জোড়াপুল সংলগ্ন একটি কলাবাগান থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের ডিএডি সৈয়দ আলী বাদী হয়ে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেিএসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও জানানো হয়, অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী নাজমুল হাসান শামীম বগুড়া সদরের শাখারিয়া ইউনিয়নের উলিপুর নয়াপাড়ার নজরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। সে বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ জনগণকে ভীতি প্রদর্শন, পায়ে গুলি করে অঙ্গহানি, খুন, পেটে পিস্তল ধরা, ছুরিকাঘাতসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় শিশু অপহরণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপনে খবর পেয়ে বগুড়া সদর উপজেলার দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের পাশে জোড়গাছা জয়বাংলা হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, রাত আড়াইটার দিকে জয়বাংলা হাট এলাকায় জোড়াপুল সংলগ্ন কলাবাগান থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব কমান্ডার আরও জানান, নাজমুল হাসান শামীম গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার জনমনে শান্তি ফিরে এসেছে এবং সর্বসাধারণ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, নাজমুল হাসান শামীমকে থানায় সোপর্দ ও তার বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও শাখারিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক কামরুল হুদা উজ্জ্বল জানান, তার ছোট ভাই নাজমুল হাসান শামীম কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়বাংলা হাটে গরু কেনার সময় র্যাব সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থাকা একটি হত্যা মামলা মীমাংসা হয়ে গেছে এবং র্যাবের দেওয়া দুটি অস্ত্র আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তার দাবি, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা র্যাবের সাজানো নাটক। কারণ বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের স্থান প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ তার ভাবমূর্তি নষ্ট ও তাকে দুর্বল করতেই র্যাবকে ম্যানেজ করে তার ভাইকে ধরিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন কামরুল হুদা উজ্জ্বল।