X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযানে ফাঁকা পেঁয়াজের আড়ত!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১১ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৪৯আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩৪

খাতুনগঞ্জ আড়ত জেলা প্রশাসনের বার বার অভিযানের পরও চট্টগ্রামে কমছে না পেঁয়াজের দাম। অভিযানের কারণে উল্টো পেঁয়াজশূন্য হয়ে পেড়েছে খাদ্য পণ্যের অন্যতম বাজার খাতুনগঞ্জ। আমদানিকারকরা খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ না পাঠিয়ে টেকনাফ থেকে সরাসরি পেঁয়াজ বিক্রি করে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। যার কারণে পাইকারিতে এখনও প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। খুচরা বাজারেও একই অবস্থা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের আড়তদার হাজী আমিররুজ্জামান অ্যান্ড সন্সের মালিক মোহাম্মদ জাকারিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের অভিযানের কারণে এখন খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজশূন্য হয়ে পড়ছে। অভিযান চালিয়ে আমদানিকারকদের জেল জরিমানা করায় কেউ এখন খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে। বাইরে থেকে পার্টির কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ না পাঠানোর কারণে আমরা যারা আড়তদার আছি তারা কমিশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আড়তে বসে আমরা অলস সময় কাটাচ্ছি।’ খাতুনগঞ্জ আড়ত

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, আড়তগুলোতে অন্যান্য সময়ের মতো তেমন পেঁয়াজ নেই। অধিকাংশ আড়ত ফাঁকা পড়ে আছে। কয়েকটি আড়তে কিছু পেঁয়াজ দেখা গেলেও ওইসব পেঁয়াজের মান খুব একটা ভালো নেই। ওইসব পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একাধিক আড়তদারের অভিযোগ, খাতুনগঞ্জে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করায় আমদানিকারকরা এখন আর এখানে পেঁয়াজ পাঠান না। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ টেকনাফে বসেই বিক্রি করে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা।

খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল বশর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমদানিকারকরা কেউ ঝুঁকি নিতে চান না। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ পাঠালে আমদানিকারকদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তাই তারা বাইরে থেকেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। আমাদের আড়তগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।’

এদিকে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম না কমায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, কাজিড় দেউরি বাজারসহ কয়েকটি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেবারে ভালো মানের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১৩৫ টাকা। এরচেয়ে কম মানের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। এবং কিছুটা খারাপ মানের পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

লালখান বাজার এলাকার মুদি দোকানদার জসিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চার দিন আগে মাঝারি মানের এক বস্তা পেঁয়াজ কিনেছি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকা করে কেনা এই পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি করছি ১২০ টাকায়।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে না। আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি তারা যেন আড়তে আমদানি ও বিক্রির কাগজপত্র রাখেন। এর জন্য যদি তারা আড়তে পেঁয়াজ আনা বন্ধ করে দেন, তাহলে এটি দুঃখজনক বিষয়। বিষয়টি নিয়ে আমি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব। তবে তাদের অবশ্যই আড়তে ক্রয় বিক্রয়ের কাগজপত্র রাখতে হবে।’ 

 

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
কেনিয়ায় বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!