সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরে ‘লন্ডন এক্সপ্রেসের’ বাসটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটি রাস্তার ভুল দিকে এসে এনা পরিবহনের বাসটিকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুলেই এতোগুলো প্রাণহানি ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।
ইতোমধ্যে দুর্ঘটনায় আট জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরের অদূরে ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক যাত্রী গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ভুল সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সিলেটে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিল না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে এনা গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। অথবা লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। এ বিষয়ে পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহতরা হলেন- এনা পরিবহনের বাসের চালক শেরপুর এলাকার মঞ্জু আলী (৩৮), বাসের কনডাকটর জগন্নাথপুরের সালমান আহমদ (৩০), বাসের হেলপার মৌলভীবাজারের শেরপুরের জাহাঙ্গীর আলম (৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাজবাড়িয়া কান্দির আলী হায়দারের ছেলে নুরুল আমিন (৫), ঢাকার ওয়ারীর আব্দুল মালেকের ছেলে সাগর (১৯), সিলেটের ওসমানীনগরের ধরখা গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮), চুয়াডাঙ্গা জেলার আমদ বাড়িয়া গ্রামের ডা. আমজাদ হোসেনের ছেলে ডা. ইমরান খান রুহেল (৩৩), সুনামগঞ্জের দুয়ারাবাজারের রহিমা খাতুন।
জানা যায়, ঢাকা থেকে যাওয়া লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহনের বাসের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১) মধ্যে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন-