X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বিক্রি হয়নি ৭৩ হাজার কোরবানির পশু

রাজশাহী প্রতিনিধি
২৮ জুলাই ২০২১, ১৯:৫০আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২১, ২২:৪৩

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভারতীয় পশু আমদানি করা হবে না–এমন খবরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজশাহীর খামারিরা। তবে অনেক খামারির কাছে এমন আশা শেষে হতাশায় পরিণত হয়েছে। রাজশাহীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৭৩ হাজারের বেশি পশু অবিক্রীত থেকে গেছে। এ নিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছেন খামারিরা। জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় এবার কোরবানির জন্য বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৮৯টি পশু এবং অবিক্রীত থেকে গেছে ৭৩ হাজার ১২৯টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য বলছে, রাজশাহী নগরীসহ ৯টি উপজেলায় কোরবানির জন্য মোট ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরমধ্যে গাভী ৯ হাজার ১৬০টি, ষাঁড় ৫৩ হাজার ৬৯৪টি, মহিষ ৩১৫টি, ছাগল ২ লাখ ২৬ হাজার ১২৭টি এবং ভেড়া ১৯ হাজার ৬৬৩টি বিক্রি হয়েছে। আর  ৪০ হাজার ৮৪০টি গরু ও মহিষ এবং ৩২ হাজার ২৮৯টি ছাগল ও ভেড়া অবিক্রীত রয়ে গেছে।

রাজশাহীতে এবার অন্যবারের চেয়ে কম বিক্রি হয়েছে মহিষ। প্রস্তুতকৃত ২ হাজার ৯৫৬টি মহিষের মধ্যে মাত্র ৩১৫টি মহিষ বিক্রি হয়েছে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার খামারি সাদিকুল ইসলাম জানান, তার খামারে এবার পাঁচটি বড় গরু ছিল। ভারত থেকে গরু আসবে না, তাই কোরবানিকে সামনে রেখে এবার তার তেমন চিন্তা ছিল না। আবার লকডাউন থাকলেও পশু পরিবহন এর আওতামুক্ত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার তিনটি গরু অবিক্রীত থেকে গেছে।

জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আহান অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার কোরবানিকে সামনে রেখে এক বছরের অধিক সময় ধরে ৩০টি গরু পালন করেছিলাম। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে না পেরে ঈদের কয়েকদিন আগে ৩০টি গরু ঢাকায় পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু ঢাকায় ১৯টি গরু বিক্রি হয়েছে। ১১টি গরু এখন খামারে। অবিক্রিত এই ১১টি গরুর দাম গড়ে প্রায় ৩ লাখের ওপরে। এখন এসব গরু কীভাবে বিক্রি করবো, নাকি আবারও এক বছর পালন করবো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আয় কমেছে। আবার বাইরের বড় ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর রাজশাহী থেকে যে পশু নিয়ে যান তাতেও ভাটা পড়েছিল। এ কারণেই মূলত এই পশুগুলো অবিক্রীত রয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এবার রাজশাহীর বড় গরু, মহিষ কম বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। করোনাকালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খামারিদের প্রণোদনা দিচ্ছে। যেটা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।

 

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা
যেখানে-সেখানে পশু কোরবানি, নির্ধারিত স্থানে যায়নি কেউ
এক হাট থেকে খুলনা সিটি আয় করেছে দুই কোটি ২১ লাখ টাকা
সর্বশেষ খবর
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
ওসির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজের অভিযোগ
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
মেলায় জাদু খেলার নামে ‘অশ্লীল নৃত্য’, নারীসহ ৫ জন কারাগারে
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা