পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘হাওরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আগাম বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে সুনামগঞ্জে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর একটি নদী খনন এবং আরেকটি কজওয়ে নির্মাণ। বছরের শেষের দিকে এই দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। এখন এর সমীক্ষার কাজ চলছে।’ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নতুন প্রকল্প সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমরা আশা করছি, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে কাজ শুরু করতে পারবো। ১৫৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পে ১৪টি নদী এবং এর সঙ্গে যত সংযোগ খাল রয়েছে তা খননের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সমীক্ষার কাজ চলছে। সমীক্ষার রিপোর্ট আমরা সেপ্টেম্বরের ভেতরে পাবো। এরপর একনেকে তুলে প্রকল্পটা পাস করাবো।’
তিনি বলেন, ‘নদীপথ দিয়ে নৌ চলাচলের জন্য এবং ফসল কেটে কৃষক যেন বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন সেজন্য ৯০টি কজওয়ে রাখা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কজওয়ের পয়েন্টগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ রাখা হবে। ফসল কাটা শেষ হলে কজওয়েগুলো খুলে দেওয়া হবে। এই দুটি কাজ করা হলে আগামীতে এরকম আগাম বন্যা হলে মোকাবিলা করতে পারবো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম, সিলেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক প্রমুখ।