দীর্ঘ ৯ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। শনিবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচবাহী দুটি ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়।
দুই ট্রাকে ১৫ টন ৩০ কেজি কাঁচা মরিচ এসেছে। হিলি শিপিং লাইন প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে। ভারতের জগৎবাবা প্রতিষ্ঠান এসব মরিচ রফতানি করেছে।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক জামিল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তীব্র গরম ও কয়েকটি জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে হঠাৎ কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়তে বাড়তে ৩০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় ভারত থেকে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কয়েকদিন আগে আইপির জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু অনুমোদন না দেওয়ায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার অনুমোদন পাওয়া গেছে। স্থলবন্দরের দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছে। এর মধ্যে আমি মেসার্স হিলি শিপিং লাইন ৫০০ টন ও সততা বাণিজ্যালয় এক হাজার টন। অনুমতি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই এলসি খুলেছিলাম। শনিবার বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রথম আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচ সরবরাহ বাড়বে; সেইসঙ্গে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ভারতের বিহার প্রদেশ থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি টন ১৫০ থেকে ২০০ ডলার দাম পড়ছে। কাস্টমসে ৫০০ ডলার দরে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। কেজিতে ২৮ টাকা ১০ পয়সার মতো শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে আমাদের।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্দর দিয়ে গত ১০ নভেম্বর সর্বশেষ ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস পর বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয় বাড়বে। যেহেতু মরিচ কাঁচাপণ্য, গরমে পচে নষ্ট হয়ে যায় সেহেতু অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত ছাড় করে দেওয়া হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছি আমরা।