সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ৯৮ কোটি টাকা জিতেছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার রাইফুল ইসলাম। নিজ বাড়িতে বসতঘর না থাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস তার। এ অবস্থায় তার লটারি জয়ের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রাইফুল বর্তমানে আমিরাতের আল আইনের বাসিন্দা। ১০ ডিসেম্বর তিনি এই লটারির টিকিট কিনেছিলেন।
রাইফুল হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর ঈশ্বর গ্রামের হাজী আসলাম মিয়ার বাড়ির মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে। ২০১১ সালে তিনি দুবাই পাড়ি জমান। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। মা-বাবা হারানো রাইফুলের নিজ বাড়িতে নেই বসতঘর। থাকেন একই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে।
রাইফুলের বড় ভাই বাবুল স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। মেজো ভাই সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন। ছোট ভাই রুবেলও সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন।
বাবুল বলেন, ‘আমার ভাই ১১ বছর ধরে বিদেশে আছেন। বাড়িতে একটি ঘর করতেও পারেনি। এবার দেশে এসে ঘর তৈরির কথা ছিল। আল্লাহ আমার ভাইয়ের সহায় হয়েছেন। আমরা অনেক খুশি।’
রাইফুলের স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাইছেন। আমরা অনেক খুশি। আমার স্বামীকে আর বিদেশে থাকতে হবে না। ১০ জানুয়ারি তার দেশে আসার কথা ছিল। টিকিটও কেটেছেন। এখন আসতে দেরি হবে। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমার স্বামীকে ঠিকঠাকমতো দেশে ফিরিয়ে আনেন।’
রাইফুল ইসলামের শ্যালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, ‘আমার একমাত্র বোনের সঙ্গে তার দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি খুব সাধারণ মানুষ। লটারিতে জয়ী হওয়ার পর তার সঙ্গে আমার বোনের কথা হয়েছে। লটারি পেয়ে তিনি এবং বাড়ির সবাই খুব খুশি।’
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, ‘হাতিয়ার অনেক প্রবাসী রয়েছেন। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তারা বিদেশ করছেন, তবে রাইফুলের মতো সৌভাগ্য কারও হয়নি। আমরা অনেক খুশি। রাইফুলের পরিবারের সুন্দর দিন কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবিতে র্যাফেল ড্রতে ২৪৭ সিরিজের বড় পুরস্কারটি পান রাইফুল ইসলাম। লটারিতে পাওয়া অর্থের পরিমাণ সাড়ে তিন কোটি দিরহাম। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৮ কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার ২৯৫ টাকা। তিনি আরব অমিরাতের আল আইন শহরে থাকেন এবং পেশায় একজন গাড়িচালক।