X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ১১ বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

মো. নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:৫১আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২৩:১৭

Bogra-21-02-16-Picture-03 বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে কারুশিল্পী প্রয়াত আমিনুল করিম দুলালের ‘অ আ ক খ’ এবং নানা ভাস্কর্য খচিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি গত ১১ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।
শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবিতে বগুড়ার ভাষা সৈনিক মাহফুজুল হক দুলু গত কয়েক বছর ধরে শহীদ দিবসে শহীদ মিনার চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তার কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে অনশনে অংশ নেন।
মাহফুজুল হক দুলু রবিবার বাংলাট্রিবিউনকে জানান, যতদিন তার দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন তিনি শহীদ দিবসে অনশন পালন করবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে বগুড়ার কারুশিল্পী প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল করিম দুলালের নকশায় শহীদ খোকন পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। মিনারের উপরিভাগে পশ্চিম পাশে ‘ক খ’ ও দক্ষিণ পাশে ‘অ আ’ অক্ষর খোদায় করা ছিল। এছাড়া মিনারের পেছনে সুন্দর অর্থবহ ভাস্কর্য স্থাপন করা ছিল।
পরবর্তীতে শহীদ মিনারটি সকল সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ডের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৫ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ মিনারটি ভেঙে ফেলে।

পরে সেখানে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ব এ ন প ঢ’ অক্ষর সজ্জিত অদ্ভুত আকৃতির একটি মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার অক্ষর বিন্যাস দেখে অনেকে মিনারটিকে ‘বিএনপির ঢং’ বলে অবিহিত করে থাকেন।

এছাড়া সে সময় পার্কে সভা-সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হলে রাজনীতিবিদ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।
তারপর থেকেই সাধারণ মানুষ আগের শহীদ মিনার পুনঃবহালের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করেছে। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৭ সালের ৬ এপ্রিল ও ১১ নভেম্বর বগুড়ার প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেলা উদীচীর তৎকালীন সভাপতি মরহুম রহীম চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের কাছে মিনারটি পুনঃনির্মাণের আবেদন করেন। প্রধান উপদেষ্ঠার নির্দেশে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে বগুড়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সহযোগিতায় শহরের সাতমাথায় বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়ারে ইংরেজি ও আরবীর পাশাপাশি বাংলায় লেখার দাবি বাস্তবায়ন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদায়ের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে শহীদ মিনারটি পুনঃনির্মাণের দাবি তোলে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ।

২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত রহীম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বগুড়ায় এসে শহীদ মিনারটির পুনঃনির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুরোধ জানালেও কোনও সাড়া মেলেনি।

/এসএনএইচ

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী