গাজীপুরের কালীগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ দুই দফা হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।
আহতরা হলেন– উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল-মামুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুলতান মাহমুদ এবং কনস্টেবল নাঈমুর রহমান। গুরুতর আহত কনস্টেবল নাঈমুর রহমানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলো– ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫০), তার মেয়ে হাফসা আক্তার (১৮)। গ্রেফতারকৃতরা প্রধান আসামি আরিফুল হকের মা ও বোন। ঘটনার পর প্রধান আসামি মোক্তারপুরের ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফুল পলাতক রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্য আসামি আরিফকে গ্রেফতার করতে উপজেলার ডেমরা গ্রামে যান। পুলিশ আরিফের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন গ্রেফতার করতে বাধা দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তি হলে আসামি আরিফ এসআই সাব্বিরের হাত থেকে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেন। আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ধাওয়া দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আরিফকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে আসামিপক্ষের লোকজন পুলিশ কনস্টেবল নাঈমুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের হামলায় এসআই সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল মামুন ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে প্রধান আসামি আরিফ পালিয়ে গেলেও তার মা ও বোনকে আটক করে।
