ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। রবিবার (১০ জুলাই) বিকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ঝাউবাগান, শুঁটকি পল্লি, রাখাইন মার্কেট, গঙ্গামতী ও লেম্বুরবনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে দেখা গেছে পর্যটকদের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি। সৈকতে বেশ কিছু বিদেশি পর্যটকের উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে আগের তুলনায় পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক মাশরাফি হাওলাদার বলেন, সকালে এসে আমরা সৈকতে নেমেছি। এখানের পরিবেশটা ভালোই লেগেছে। তবে বৃষ্টির কারণে ঘোরাফেরায় একটু সমস্যা হয়েছে।
জামালপুর থেকে আসা সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ১২ বন্ধু রবিবার শেষ বিকালে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। কিন্তু বৃষ্টি এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারিনি। তাদের কাছ থেকে খাবারের দাম একটু বেশি রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। গত দুই বছর করোনা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা কারণে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করেছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মানুষজনের আনাগোনা বেড়েছে, তাতে আবাসিক হোটেলসহ অন্যান্য দোকানে বেচাকেনাও বাড়ছে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম জহির বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে আগের তুলনায় পর্যটক অনেক বেশি। আমরা সাধ্যমতো পর্যটকদের সেবা দিচ্ছি। তবে কেউ বেশি ভাড়া কিংবা খাবারের অতিরিক্ত মূল্য রাখলে প্রশাসনের কাছে জানানোর অনুরোধ করছি।
কুয়াকাটার পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কুয়াকাটার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে । যাতায়াত সহজ হয়েছে, ফেরির বিড়ম্বনাও নেই। বিলাসবহুল গাড়ি আসছে কুয়াকাটায়। অনেকে ব্যক্তিগত যানবাহনে অল্প সময়ে কুয়াকাটায় চলে আসছেন। আমরা সৈকতসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছি। আমরা চেষ্টায় আছি কুয়াকাটা পর্যটনকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পর্যটকদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া আমরা বিভিন্ন আবাসিক ও খাবার হোটেল মনিটরিং করছি। খাবারের দাম বেশি ও বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে পর্যটকদের থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।