পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড় ধসের প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন খাতে। গত বছর ঈদ মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের আগমনে খাগড়াছড়ি সরগরম থাকলেও এবার পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, হোটেল, মোটেল,গেস্ট হাউস সব মিলিয়ে জেলায় ১২০টি হোটেল আছে। গত বছর ঈদের আগে ও পরে প্রায় সপ্তাহ খানেক এক থেকে দেড় লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছিল খাগড়াছড়িতে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যা ও পাহাড় ধসের প্রভাব পড়েছে পর্যটন সেক্টরে। যেসব হোটেলগুলো আগে থেকে বুকিং ছিল, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। যারা অগ্রিম টাকা দিয়ে হোটেল বুকিং করেছিলেন তারাও টাকা ফেরত নিচ্ছেন। স্থানীয় পর্যটক ছাড়া বাইরের পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা হোটেল মালিকদের।
খাগড়াছড়ি জেলা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি হোটেল গ্রীন স্টারের মালিক কল্যাণ মিত্র বড়–য়া বলেন, দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। গত বছর পর্যটক আগমনের কারণে কোনও হোটেল খালি ছিল না। কিন্তু এবছর সব খালি পড়ে আছে। কোটি-কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী সময়ে খাগড়াছড়িতে পর্যটক আসবে এমন আশা করছেন তারা।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ম্যানেজার ইদ্রিন তালুকদার বলেন, বন্যা ও পাহাড় ধসের কারণে পর্যটকরা আসছে না। তারা গত বছর পর্যটকদের জায়গা দিতে পারেনি। এবার হোটেল খালি পড়ে আছে। যারা বুকিং দিয়েছে-তারা বুকিং বাতিল করে টাকা ফিরিয়ে নিয়েছে। ঈদ মৌসুমে তাদের এক থেকে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
আরেক হোটেলের মালিক যুবরাজ বলেন, গত বছর এই সময় পর্যটকের জন্য জায়গা ছিল না। এ বছর ঈদের আগে-পরে ৭ দিনের জন্য তার হোটেল পুরো বুকিং ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পর্যটকরা বুকিং বাতিল করে টাকা ফিরিয়ে নেওয়ায় তার ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো আর বলে আসে না। প্রাকৃতিক বির্পযয় সাময়িক। এর প্রভাব শেষ হলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা আবার লাভবান হবেন।’
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান বলেন, বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এ বছর এখন পর্যন্ত পর্যটক কম। তারপরেও যারা আসছে তাদের শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পর্যটন স্পটগুলোয় পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ ২৪ ঘণ্টাই মোতায়েন থাকবে।