X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে শিক্ষক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০২১, ২০:১৯আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২১, ২০:৩৪

জীবিত থাকার পরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। ফলে তার পেনশনের জুন মাসের টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) হাজির হয়েছেন খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে। দিঘিনালা

সার্ভারে মৃত দেখানো এই শিক্ষক হলেন দিঘীনালার পশ্চিম কাঁঠালতলি পাড়ার অনিল বড়ুয়া (৭৫)। তিনি উপজেলার কালাচাঁদ মহাজন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ১৯ বছর আগে (২০০২ সালের ৪ জুন) শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন।

অবসরের পর থেকে পেনশন হিসেবে প্রতি মাসে সাত হাজার ৬৬৯ টাকা করে পেতেন। চলতি মাসে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে গিয়ে অনিল বড়ুয়ার ছেলে সুমিত বড়ুয়া জানতে পারেন তার বাবাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে এবং ব্যাংক হিসাবে কোনও টাকা জমা হয়নি।

সুমিত বড়ুয়া বলেন, বাবার বয়স প্রায় ৭৫ বছর। বয়সের ভারে এবং বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত থাকায় পেনশনের টাকা ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে আমিই উত্তোলন করি। চলতি মাসের টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে গিয়ে জানতে পারি, জমা হয়নি। পরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানালে বলা হয়, বাবা মারা গেছেন মর্মে সার্ভারে তথ্য থাকায় টাকা জমা হয়নি। তাই জীবিত প্রমাণ করতে বাবাকে হাজির করতে হয়েছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে।

অনিল বড়ুয়া বলেন, শিক্ষকতা থেকে অবসরের পর গত ১৯ বছর পেনশনের টাকা পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আমাকে সার্ভারে মৃত দেখানোয় গত মাসের টাকা জমা হয়নি। অসুস্থ এবং ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারি না। এরপরও জীবিত আছি, বিষয়টি জানান দিতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার সামনে হাজির হই।

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের নিরীক্ষক দিলীপ চাকমা বলেন, এখন পেনশনের টাকা ঢাকা থেকে সরাসরি যার যার ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা হয়। প্রতি মাসে সুবিধাভোগী ব্যক্তি বেঁচে আছেন কি-না, তা যাচাই করা হয়। মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সুবিধাভোগী হয়তো বার্তা খেয়াল করেননি। তাই মৃত দেখানো হয়েছে। সকালে অনিল বড়ুয়া কার্যালয়ে এলে তার হিসাবটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই নিরীক্ষক।

দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবেন বলে জানান।

/এফআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তারেক রহমানের এপিএসসহ ৭ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি অব্যাহত
তারেক রহমানের এপিএসসহ ৭ জনের অভিযোগ গঠন শুনানি অব্যাহত
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
কোরিওগ্রাফার ইভানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৩ মে
কোরিওগ্রাফার ইভানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৩ মে
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি