২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ১ নম্বর আলীকদম সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার জিহাদ। বৃহস্পতিবার (১২ মে) বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খলিল এ তথ্য জানান।
অভিযুক্তরা হলেন—আলীকদম সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার জসীম উদ্দীন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ওবাইদুল হাকিম, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আশিকুল ইসলাম, পোলিং অফিসার হুমাইরা জান্নাত লিমা, পোলিং অফিসার সামহ্রী মারমা, পোলিং অফিসার মো. আবু জাফর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার হুমায়ুন কবির, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আক্তার উদ্দিন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার রামেল পাল, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ হোছনগীর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার গিয়াস উদ্দীন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার চানু মারমাসহ আলীকদমের ১ নম্বর সদর ইউনিয়নে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত ১২৭ জন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার।
জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর আলীকদমের চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারী নির্বাচনে ১ নম্বর আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও ভোট গণনার সময় কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনী এলাকার দুর্গম ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডেও অধিক ভোট কাস্টিং দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বেশি ভোট দেখায়। এ সময় বাদীর নিযুক্ত এজেন্টদের কাছ থেকে ফরমে জোর করে সই নিয়ে কোনও কেন্দ্রে রেজাল্টশিট সরবরাহ না করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৯.৮৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৯.১৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং দেখায়। এ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে অনিয়মের প্রমাণ দিয়ে আবারও ভোট গণনার দাবি ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েও কোন সুরাহা না পাওয়া যায়নি। তাই নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ করেছেন আনোয়ার জিহাদ।
এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘নির্বাচন কমিশনে ভোট কারচুপির প্রমান সাপেক্ষে অভিযোগ করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। এতে কারচুপি প্রমাণও হয়। তারপরও নির্বাচন কমিশন ন্যায় বিচার না করায় নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি।’