X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও জেলিফিশে ছেয়ে গেছে কক্সবাজার সৈকত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪৫আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪৫

কিছুদিন আগেই কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন সৈকতে শত শত সাদা নুইন্যা বা সাদা জেলিফিশ মৃত অবস্থায় ভেসে আসে। সেই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পরেই সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে অসংখ্য মাছ। তারও দুই সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই আবারও জেলিফিশে ছেয়ে গেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণি ও শৈবাল পয়েন্টে এসব জেলিফিশ ভেসে আসে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর সৈকতে জেলিফিশ ভেসে আসে। তবে এ বছর তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি জেলিফিশ ভেসে এসেছে। বছরের শেষের দিকে সৈকতে দফায় দফায় জেলিফিশের দেখা মিলছে। গত আগস্ট টানা দুই দিন (৩ ও ৪ আগস্ট) এবং সবশেষ ১১ নভেম্বরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপুল সংখ্যক জেলিফিশ ভেসে এসেছিল।

জেলিফিশে ছেয়ে গেছে কক্সবাজার সৈকত

সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মী মো. বেলাল হোসেন বলেন, আজ সকালে জোয়ারের পানিতে জেলিফিশগুলো ভেসে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে টানা জালে আটকে পড়ে মারা যায় জেলিফিশগুলো। টানা জাল থেকে জেলেদের ফেলে দেওয়া মৃত জেলিফিশ ভাসতে ভাসতে সৈকতে চলে আসে।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানান, কক্সবাজার সমুদ্রের জেলিফিশের প্রজন্ম বেশি। কিন্তু জেলেদের কাছে এ মাছের কোনও গুরুত্ব না থাকায় মেরে ফেলেন। মরে যাওয়া মাছগুলো কূলে ভেসে আসে।

ভেসে আসা জেলিফিশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, লোবোনিমুইডিস রোবোস্টাস বা স্থানীয় ভাষায় সাদা নুইন্না প্রজাতির এই জেলিফিশের সংস্পর্শে গেলে কোনো ধরনের ক্ষতি হয় না। বরং প্রক্রিয়া করা গেলে খাদ্য হিসেবে বেশ উপযোগী জেলিফিশ। এটি নিয়ে গবেষণা চলছে।

স্থানীয় ভাষায় জেলিফিশকে 'নুইন্যা' বলে সম্বোধন করা হয়। হাবিবুর রহমান নামের এক জেলে জানান, কক্সবাজারের মানুষ জেলিফিশ খায় না। এগুলো বেচাকেনাও হয় না। ফলে এসব আমাদের কোনও কাজে আসে না। বরং কিছু প্রজাতির জেলিফিশ গায়ে লাগলে মারাত্মকভাবে চুলকায়। তাই এসব জালে আটকা পড়লে আমরা ফেলে দেই।

সৈকতে ভেসে আসা জেলিফিশ

গত ১১ নভেম্বর ভেসে আসা জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিওআরআইর) সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। সেসময় সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা ২ হাজার প্রজাতির জেলিফিশের মধ্যে মাত্র যে ১২টি প্রজাতির খাদ্যমূল্য আছে তারমধ্যে সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ অন্যতম। এটি খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই জেলিফিশটির অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র বঙ্গপোসাগরের কক্সবাজার উপকূল।

তিনি আরও জানান, বঙ্গপোসাগর সাদা নুইন্যার অন্যতম আবাসস্থল হলেও আমাদের দেশে এর কোনও ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আমরাও এই অবহেলিত সামুদ্রিক পণ্যটির স্থানীয় বাজার সৃষ্টিসহ রফতানি করে সুনীল অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।


/ইউএস/
সম্পর্কিত
ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ
সাগরে মাছ নেই, খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী