বান্দরবানের লামায় মারমা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার তিন দিন পরও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতারা।
স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ওই নারী বাড়ির পাশের খালে শাক তুলতে গিয়েছিলেন। এ সময় কায়সার নামে স্থানীয় এক যুবক তাকে মুখ চেপে ধরে পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় হত্যার হুমকি দেয় কায়সার। অসুস্থ অবস্থায় সেদিন তাকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে কায়সারকে (৩৫) আসামি করে লামা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা ও রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মংয়েনু মারমা বলেন, ‘ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভুক্তভোগী নারীর ভাই বলেন, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই। মামলার তিন দিনেও ওই যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে পারছি না আমরা।’
লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘পলাতক থাকায় অভিযুক্ত যুবককে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
ওই নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত যুবকের বিচার দাবিতে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে লামায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সচেতন ছাত্র সমাজ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমার বোন কেন নির্যাতনের শিকার হলো, তার জবাব চাই। অবিলম্বে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
এদিকে, ওই নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত যুবকের বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ জেলা শাখা।